1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কু‌মিল্লায় ডি‌বির পৃথক অ‌ভিযা‌নে ইয়াবা ফে‌ন্সি‌ডিল আটক ৩ আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত – এম সাখাওয়াত হোসেন দে‌শের প্রয়োজ‌নে বিএনসিসির সদস্যরা বিশাল শক্তি হিসেবে কাজ কর‌বে – সেনাপ্রধান কু‌মিল্লায় সাংবা‌দিক‌দের সা‌থে পু‌লিশ সুপা‌রের মত‌বি‌নিময় নারায়নগন্জ মহানগর বিএনপির র‍্যালিতে কৃষক দলের অংশগ্রহন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগ‌ঞ্জে বিএন‌পির র‍্যালি গোপালগ‌ঞ্জে দিনমুজুর‌কে হত্যা মামলায় গ্রেফতার, নবজাতক দুই বোন নিয়ে দিশেহারা ছোট ভাই শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ কর‌তে হ‌বে, না করলে প্রশাসক নিয়োগ হ‌বে- সাখাওয়াত বাংলাদেশ থেকে জাপানি সৈন্যদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে নিবে আজারবাইজানে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

শব্দ দূষণ আর চাই না !

রুবা‌য়েত হো‌সেন:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১
  • ৩৯০ বার পঠিত

বাংলাদেশ প‌রি‌বেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী  উচ্চশব্দ সৃ‌ষ্টি ক‌রা ও প্রচার উচ্চ শব্দ‌ের ব‌্যবহার করা নি‌ষিদ্ধ। অথচ প্রতি‌দিনই বি‌ভিন্ন কর্মসু‌চি , গায়ে হলুদ, ঈদ, পহেলা বৈশাখ, সভা-সমাবেশসহ সকল অনুষ্ঠানে ৭০ ডেসিবল শব্দসীমার মধ্যে থে‌কে কাজ কর‌তে হ‌বে এবং শেষ করতে হবে রাত দশটার মধ্যে। রাত দশটার পর কোন উচ্চশব্দের কোন আয়োজন কেউ করতে চাইলেও তা সাউন্ডপ্রুফ হল রুমে করতে হবে। গাড়ির হর্ণের শব্দও ৫০-৬০ ডেসিবলের মধ্যে থাকবে। আজান সর্বোচ্চ ৮০-৯০ ডেসিবলের মধ্যে প্রচার করতে হবে।  আইন ক‌রে আই‌নের ব‌্যবহার না হ‌লে এই আই‌ন সমা‌জের দে‌শের কি কা‌জে আস‌বে?

আহা! এরকম মানবিক, সভ্য ও সুস্থ আইন ও আইনের প্রয়োগ আ‌দৌ কি হবে বাংলাদেশে ?

  উচ্চ শব্দ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, রাজনী‌তিক নেতা, এম‌পি, মন্ত্রীসহ জনপ্রতি‌নি‌ধিদের পদ‌ক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন ম‌নে ক‌রছেন না কেন?  বাংলাদেশের মতো এত শব্দ দূষণ পৃথীবীর আর কোথাও আছে বলে মনে হয়না। এই শব্দ দূষণ শিশুদের সঠিক বিকাশের জন্য কত বড় বাধা অ‌নে‌কে জা‌নে না।

শব্দ দূষণ শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের অন্তরায়। দেশের বিশাল জনসংখ্যার একটি অংশ প্রতিনিয়ত উচ্চ মাত্রার শব্দ দূষনের মধ্যে বসবাস করছে, যা শিশুদের এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং পরিবেশ অধিদপ্তর রাজধানী ঢাকাসহ কিছু জেলা শজ‌রে শব্দের মাত্রাকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেছে

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ক্ষমতাবলে শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ প্রণয়ন করা হয়। বিধিমালার আওতায় নীরব, আবাসিক, মিশ্র, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকা চিহ্নিত করে শব্দের মানমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। আইন অমান্য করলে প্রথমবার অপরাধের জন্য এক মাস কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড এবং পরবর্তী অপরাধের জন্য ছয় মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।

বিধিমালায় বলা আছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পেয়ে আবাসিক এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মানমাত্রা অতিক্রম  করতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে আবাসিক এলাকায় দিনের বেলায় ৫৫ ডেসিবেল ও রাতের বেলায় ৪৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ অতিক্রম করতে পারবে না। কিন্তু বাস্তবে এই আইনের তেমন প্রয়োগ দেখা যায় না বল‌লেই চ‌লে।

আমাদের অসচেতনতা ও ভুলের জন্য শিশুদের সঠিক বিকাশে বাঁধাগ্রস্থ হলে আজকের শিশুরা আগামী দিনের সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলা কখনও সম্বভ হ‌বে না। আজ‌কের শিশুদের কাজ থেকে আগা‌মি সুন্দর বাংলা‌দেশ পাওয়ার জন‌্য আসুন  আমরা সবাই আইন মেনে চলি।

লেখক: রুবায়েত হোসেন

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com