রাজধানীর ওয়ারিতে বাসায় ঢুকে হাসান নামে ১২ বছরের শিশুকে গলা কেটে হত্যার পর নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর ওয়ারীতে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রাজধানীর ওয়ারিতে বাসায় খালা আয়েশা বেগমের সাথে থাকতো মাদ্রাসা ছাত্র হাসান। লক ডাউনে মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় খালার ভাড়া বাসাতেই থাকতো সে। খালা আয়েশা আক্তার জানান, শুক্রবার তাদের কক্সবাজার যাওয়ার কথা ছিল, কক্সবাজার ট্যুরের আয়োজক তার ছোট বোনের স্বামী বিল্লাল হোসেন ও তার বন্ধু জাহিদ আর সোহেল। বুধবার সন্ধ্যায় আয়েশা বেগমের বাসায় ট্যুরের টাকা আনতে যায় জাহিদ ও সোহেল। পরে হাসানকে বাসায় একা রেখে খালা আয়েশা কেনাকাটা করতে বেরিয়ে গেলে সঙ্গে জাহিদ ও সোহেল বেরিয়ে যান।
এরপর রাত দশটার দিকে আয়েশা আক্তার বাসায় ফিরে বাইরে থেকে তালা আটকানো দেখতে পান। পরে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে গলাকাটা অবস্থায় হাসানকে দেখতে পান। এসময় তার নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারও লুট হয়। পাশের ফ্লাটের ভাড়াটিয়ারা বলছেন, কিছুই টের পাননি তারা।
আয়েশা ও তার স্বমী জামাল ভূইয়ার অভিযোগ, হাসান ও জাহিদ আগে থেকেই বাসায় যাতায়াত করতেন, সেদিন ফাঁকা বাসা পেয়ে তারা শিশুটিকে হত্যা করে টাকা পয়সা লুট করেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সোহেলকে আটক করেছে পুলিশ। জাহিদ পলাতক রয়েছে। বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করছেন তারা।
ওয়ারি জোনের সহাকারী পুলিশ কমিশনার হান্নানুল ইসলাম বলেন, খুনের পরিকল্পনাতে গিয়ে চুরি করল কিনা এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আমরা ধারণা করছি, চুরি করতে গিয়ে খুন হইছে। জাহিদকে গ্রেফতারে অভিযানে অব্যাহত আছে বলে জানায় ওয়ারি থানা পুলিশ।
এ জাতীয় আরো খবর..