দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর নাম ভাঙিয়ে প্রতারণায় নেমেছে সংঘবদ্ধ চক্র। এসব চক্র বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ দাবি বা আদায় করছে এমন অসংখ্য অভিযোগ পাচ্ছে কমিশন। গতকাল কমিশনের পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে এ-সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ পেয়েছে দুদক। কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিচয় দিয়ে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রটি সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিতদের টার্গেট করছে।
ফোন করে কমিশনে কল্পিত অভিযোগ কিংবা কমিশনের বিবেচনাধীন কোনো অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা দাবি করছে চক্রটির সদস্যরা। তিনি বলেন, দুদক একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। এ সংস্থায় কোনো ব্যক্তির একক অভিপ্রায় অনুসারে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার অথবা অভিযুক্ত হওয়ার কোনো আইনি সুযোগ নেই। কমিশন অনুসন্ধান বা তদন্ত সংক্রান্ত সব ধরনের যোগাযোগ টেলিফোন বা মোবাইল ফোনে নিষিদ্ধ করেছে। কমিশনের এ-সংক্রান্ত সব যোগাযোগ কেবল লিখিত পত্রের মাধ্যমেই করা হয়।
তিনি আরও বলেন, টেলিফোন বা মোবাইল ফোনে অভিযুক্ত বা অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো প্রশাসনিক ও আইনি সুযোগ নেই। এ প্রতারকদের বেশ কিছু সদস্যকে এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। দুদকের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আগেও এ বিষয়ে কমপক্ষে দশবার প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সর্বসাধারণকে সচেতন করা হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে এরূপ প্রতারকদের কর্মকান্ড- সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের প্রতারকদের আইনের আওতায় আনতে জনসাধারণকে নিকটস্থ থানা, র্যাব কার্যালয় অথবা দুদকের পরিচালক (গোয়েন্দা) মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী (মোবাইল নম্বর : ০১৭১১-৬৪৪৬৭৫) এবং দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্যরে (মোবাইল নম্বর : ০১৭১৬-৪৬৩২৭৬) সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন।