গৌরবময় সেবার ৪৫ বছর পেরিয়ে ৪৬ বছরে পদার্পণ করলো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। মহামারি করোনার কারণে স্বল্প পরিসরে গতকাল (১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১) পালিত হল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস।
‘শান্তি শপথে বলীয়ান’ এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ডিএমপি জননিরাপত্তা বিধান ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে আসছে। বাংলাদেশ পুলিশের বৃহৎ ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ১৯৭৬ সাল হতে জনবহুল রাজধানী ঢাকা মহানগরের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং পেশাগত জ্ঞান অর্জনকে প্রাধান্য দিয়ে, সৃজনশীলতা এবং জনঅংশীদারিত্বকে অন্যতম কার্যকৌশল হিসেবে গ্রহণ করে বহুমাত্রিক এ নগরের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানে সচেষ্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়াম, রাজারবাগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন ও পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) । অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার)।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে তাঁরা বলেন- বাংলাদেশ পুলিশের সর্ববৃহৎ ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই ইউনিটের সদস্যগণ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও জনগণের জান-মালের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ডিএমপির সদস্যগণ পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও আধুনিক প্রযু্ক্তির সমন্বয়ে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে একটি যুগোপযোগী, দক্ষ ও জনবান্ধব বাহিনীতে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাফল্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং ও উঠান বৈঠকের মতো সময়োপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সরব উপস্থিতি পুলিশী সেবাকে নগরবাসীর দোরগোড়ায় নিয়ে গেছে।