আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই দেশে গণমাধ্যমের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের গণমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।
বিশ্ব বেতার দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বেতারের শিল্পী, শ্রোতা, সম্প্রচারকর্মী ও কলাকুশলীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নতুন বিশ্ব, নূতন বেতার’ সময়োপযোগী হয়েছে।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তথ্যসমৃদ্ধ বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্প্রচারের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় নিরন্তর সেবা পৌঁছে দিচ্ছে বেতার। একইসঙ্গে সমসাময়িক যুগের চাহিদা মেটাতে ডিজিটাল-প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতারের সংবাদ ও অনুষ্ঠান দেশের পাশাপাশি ইন্টারনেটে বহির্বিশ্বের শ্রোতার কাছেও পৌঁছে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বেতার যাত্রা শুরু করে। এরপর থেকে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কৃষি উন্নয়ন, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, শিক্ষার মানোন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসসহ সার্বিক উন্নয়নে বেতারের ভূমিকা অনবদ্য।
তিনি আরোও বলেন, ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ হিসাবে আত্মপ্রকাশের মধ্যদিয়ে ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিসংগ্রামে বাংলাদেশ বেতারের অনন্য ভূমিকা সর্বজনবিদিত। তৎকালীন স্বৈরশাসকের বাধার মুখে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ৮ মার্চে বেতারে প্রচার, মুক্তিকামী বাঙালি, জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ, সর্বোপরি স্বাধীনতা অর্জনে বাংলাদেশ বেতার সব সময় এদেশের জনগণের পাশে থেকেছে।সুত্র:যুগান্তর।