রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়ে শিশু জন্ম নেয়ায় নবজাতককে ফেলে পালিয়ে যায় তার বাবা। দুই মেয়ের পর এবার ছেলে সন্তানের আশায় বুক বেঁধেছিলেন এ দম্পতি। মেয়ে শিশুটি পৃথিবীর আলো দেখার পরই বাবা-মায়ের চোখে-মুখে হতাশা নেমে আসে। পরে শিশুটিকে ফেলে রাতের আঁধারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ত্যাগ করেন তারা। বৃহস্পতিবার ফেলে যাওয়া শিশুটিকে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী জোবেদা বেগম তার বাড়িতে নিয়ে যান। জোবেদার বোন মোমেনা নবজাতককে মায়ের আদরে বড় করে তুলছেন।
জানা যায়, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউপির ধোবাকল গ্রামের ঝালমুড়ি বিক্রেতা প্রদীপ বিশ্বাস তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী পল্লবীকে বুধবার বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। রাতে সন্তান জন্ম দেন পল্লবী। মেয়ে সন্তান হওয়ায় তারা খুশি হতে পারেননি। তাদের ঘরে পপি ও দীপা নামে আরও দুটি মেয়ে আছে। অভাবের সংসারে তিন মেয়ের ভরণ-পোষণ করা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তারা। পরে মধ্য রাতে পালিয়ে যান প্রদীপ ও পল্লবী। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।
বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হোসাইন বলেন, আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া দত্তক দেয়া যায় না। আমরা শিশুটিকে তার মা-বাবার কাছে ফেরত দেয়ার চেষ্টা করছি।বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরশাদ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে দেখা যায়, হাসপাতালে শিশুটির মা-বাবা নেই।