সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা বজায় রেখে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে সেনাবাহিনীর নবীন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, নিজেদের বিশ্বমানের করে গড়ে তুলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করার দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে মিলিটারী একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ ও ৭৯তম বিএমএ লং কোর্স সমাপনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে একথা বলেন সরকারপ্রধান। দীর্ঘমেয়াদী কোর্সে কমিশনপ্রাপ্ত নবীন সেনা কর্মকর্তারাও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।
মাতৃভূমির অখণ্ডতা রক্ষা, সার্বভৌমত্বের নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষার কাজে সদা জাগ্রত দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সবচেয়ে বড় শাখা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ত্রিমাত্রিক প্রশিক্ষণ ও চর্চায় একেকজন কর্মকর্তা গড়ে ওঠেন দেশের সম্পদ হিসেবে।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের ভাটিয়ারির মিলিটারি একাডেমিতে তিন বছর ধরে সামরিক প্রশিক্ষণ শেষ করা নবীন সেনা কর্মকর্তাদের কুচকাওয়াজে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভার্চুয়াল মাধ্যমেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানান নতুন কর্মকর্তারা।
বিএমএ লং কোর্সের এই সমাপনী আয়োজনে সরকারপ্রধান বলেন, বিশ্বমানের সামরিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে নবীন সদস্যদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবীন সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জনকারী একটি দেশ। সে কথাটা মাথায় রেখে সবসময় যেন আমরা মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে চলতে পারি। সেভাবেই নিজেকে তৈরি করতে হবে এবং দেশের মান মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।’
সততা ও দেশপ্রেম বজায় রেখে দেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ শান্তিতে থাকলে সবাই শান্তিতে থাকবে। সে কথাটা সবসময় মনে রেখে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য যথাযথ অবদান রেখে যাবে এটাই আমরা চাই।’
সামরিক রীতি অনুযায়ী মনোজ্ঞ প্যারেড আর কুচকাওয়াজের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় প্রশিক্ষণের সমাপনী। এ বছর, ৭৯ তম লং কোর্সে ১১৬ জন বাংলাদেশি, ৩ জন ফিলিস্তিনি এবং ১ জন শ্রীলংকান ক্যাডেট কমিশন লাভ করেছেন। প্রশিক্ষণের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে দেশের নিরাপত্তায় নিয়োজিত হতে যাওয়া নবীন কর্মকর্তারাও তাদের সবটুকু দিয়ে মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানালেন। পাশাপাশি গর্বিত তাদের অভিভাবকরাও।
এর আগে নবীন অফিসাররা রঙিন বেলুন উড়িয়ে উল্লাস ধ্বনিতে মেতে ওঠেন সাফল্যের উদ্দীপনায়। সবশেষে সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ তাদের র্যাঙ্ক ব্যাচ পরিয়ে দেন।
এ জাতীয় আরো খবর..