কে চিনিয়েছিলো সূর্য সন্তানের বাড়ি
পরিচয় কোথা পেল তাঁদের , কে দিলো
পাকিস্তানি হানাদার চিনেনি জাদুমন্ত্রে
কত অমানুষ হলে ধরে নেয় রাতে
খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারে নির্মম আঘাতে
দেশ মেধাহীন করে দিতে সব আয়োজন
কিছু ঘৃণ্য স্বার্থপর লোভী নরকিটের
আজ এদের প্রেতাত্মা চারপাশ ঘিরে
ধর্মের প্রলেপ এটে আজও ওরাই
মানুষ কিভাবে ভুলে যাবে ইতিহাস ।
শ্রেষ্ঠ বাঙালি কেমনে ভুলি তোমাদের
কোনোদিন এই স্মৃতি ভুলবেনা জাতি।
যুগে যুগে কালে কালে মনেও মননে
তোমরা প্রেরণা দিবে, তোমরা মর নাই
জ্বলজ্বল করে জ্বলে তোমাদের নাম হৃদয়ে
পুড়ে ছাই করে দেয় দহন জ্বালায়
চৌদ্দ ডিসেম্বর একাত্তর কি দুর্বিষহ দিন!
কি অনাকাঙ্ক্ষিত দিন স্বাধীন হবার
পূর্বমুহূর্ত ভাবতেই বুক ফাঁটা কান্না
স্বজনের বুক চিরে সেল যেন বিঁধে ।
এ ক্ষত শুকাবেনা, এ ক্ষত থেকে ঘৃণা
বেরুবে পুজের মতো, দুর্গন্ধ ছড়াবে
নিকৃষ্ট জঘন্যদের জীবন কতো যে
দুর্গন্ধময় ইতিহাসে লেখা রবে যেনো।
তোমরা অভিশাপ দিও না গো আমাদের
তোমাদের তরে কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধা রবে আজীবন।
স্বাধীনতার স্থপতিকে শেষ করেছে ওরাই
চার নেতা, লক্ষ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম
করেছে শেষ, আরও কতো কি করেছে!
ওরাই ভাস্কর্য ভাঙে , গড়তে ফতুয়া দেয়
জন্মেছে ধ্বংসের তরে সৃষ্টির তরে না।
ওরা অমানুষ , ওরা কোন মানুষ না।
মাসুদা তোফা
সহযোগী অধ্যাপক
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ