২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক দুই উপ-কমিশনার খান সাঈদ হাসান এবং ওবায়দুর রহমান খানকে জামিন দেননি সর্বোচ্চ আদালত। ফলে দণ্ডিত এ দুই উপ-কমিশনারকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ সাজাপ্রাপ্ত এই দুই আসামির জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। আপিল বিভাগে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আরশাদুর রউফ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জামিলুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বিচারিক আদালতের রায়ে দণ্ডবিধির তিনটি ধারায় এ দুজনকে দু বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সব সাজা একযোগে কার্যকর হবে বলে তাদের ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে দুই বছরের সাজা প্রযোজ্য হবে। এই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করার পাশাপাশি জামিন চেয়েও আবেদন করেন তারা। গত ৯ মার্চ হাইকোর্টে তাদের জামিন আবেদন খারিজ হয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, এ দুই আসামি রায়ের দিন পর্যন্ত পলাতক ছিল। ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি তারা আত্মসমর্পণ করে এবং সাজা বাতিলসহ জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। চলতি বছর ৯ মার্চ হাইকোর্টে তাদের জামিন আবেদন খারিজ হয়। এরপর তারা আপিলে বিভাগে আবেদন করেন। রোববার আপিল বিভাগও তাদের আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত তাদের আবেদন খারিজ করে দেয়ায় এখন কারাভোগ ছাড়া বিকল্প কোনো সুযোগ থাকছে না পুলিশের সাবেক দুই কর্মকর্তার জন্য।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ১৪ বছর আগে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে দলটিকে ‘নেতৃত্বশূন্য’ করার চেষ্টার ঘটনায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রায় ঘোষণা করেন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন। রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এছাড়া খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। পাশাপাশি এ মামলার আসামি ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন বিচারক।
এ জাতীয় আরো খবর..