কোনো রকম জটিলতা ছাড়াই অবশেষে ভাসানচরে পৌঁছাল ১৬৪২ জন রোহিঙ্গা। নৌ এবং সেনাবাহিনীর সাতটি জাহাজে করে শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা ভাসানচরে পৌঁছান। নতুন আশ্রয়স্থলে যাত্রার পুরো পথে রোহিঙ্গারা ছিল খুশি।দীর্ঘ হুইসেল বাজিয়ে একে একে জেটি ত্যাগ করে রোহিঙ্গাবাহী নৌ এবং সেনাবাহিনীর সাতটি জাহাজ। অবশ্য এর আগে লাইন ধরে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব জেটি থেকে ভাসানচর যাত্রার জাহাজে ওঠেন রোহিঙ্গারা। তাদের চোখে মুখে অনেকটা বিস্ময়ের ঘোর। আর জাহাজে উঠে তো অবাক হওয়ার শেষ নাই।
রোহিঙ্গা জানান, আমরা নিজেদের ইচ্ছায় যাচ্ছি; প্রধানমন্ত্রী নিজে দায়িত্ব নিয়েছেন তাই খুশি হয়েছি। ছেলে মেয়ের পড়াশুনা ও ভালো থাকার জন্য যাচ্ছি।ক্যাম্পের একঘেঁয়ে জীবন আর ভালো লাগছিল না রোহিঙ্গাদের। তাই উন্নত জীবনের আশায় বাংলাদেশ সরকারের আশ্বাসে তাদের ভাসানচরে যাত্রা।
এক রোহিঙ্গা নারী জানান, খুব ভাল লাগছে, অনেক আনন্দের সাথে আমরা সেখানে যাচ্ছি।
যাত্রা পথে যেমন খাবারের ব্যবস্থা ছিলো, তেমনি নিরাপত্তায় পুরো সাগর পথে ছিলো নৌ বাহিনীর জোরদার টহল ব্যবস্থা। নতুন আশ্রয়স্থলকে এখন ভরসাস্থল হিসাবেই দেখছেন রোহিঙ্গারা।
ভাসানচরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জীবন-মান উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা ব্যবস্থা।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, পরিবেশটা ভালো, থাকার ব্যবস্থাও ভালো। সেখানে মাছ চাষ করতে পারবে। তাদের ছেলে ও মেয়েরা স্কুলে পড়াশুনা করতে পারবে।
অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নিতে চায় সরকার। তবে এই কাজে নানা অজুহাত দেখিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা স্থানান্তরের বিপক্ষে মতামত দেয়।
এ জাতীয় আরো খবর..