শিক্ষক আবদুল আলিম তার ব্যবহৃত মোবাইলটি হারিয়ে ফেলেন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। একরকম নিরাশ হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। মনে মনে ধরে নিয়েছেন আর কোনোদিন প্রিয় মোবাইলটি ফিরে পাবেন না। তবে ডায়রি করার এক মাসের মধ্যেই কোতোয়ালি থানা থেকে ফোন আসে।
নাম জানতে চেয়ে অপরপ্রান্ত থেকে জানানো হয়, উদ্ধার করা হয়েছে আপনার মোবাইল ফোনটি। থানা থেকে এসে নিয়ে যান। এমন খবরে আনন্দে উদ্বেলিত শিক্ষক আবদুল আলিম বলেন, পুলিশ এখন সেবায় অনেক এগিয়েছে।
গৃহবধূ ঝর্ণা বলেন, আমার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটিতে অনেক পুরনো ছবি ছিলো। আমার বাবা যিনি এখন দুনিয়াতে নেই। বাবার সাথে আমাদের ভাই বোনদের অনেক ছবি ছিলো। মাঝে মাঝে মোবাইল খুলে ছবি দেখতাম। ভালো লাগতো। গত সেপ্টেম্বর মাসে জরুরি কাজে কান্দিরপাড় আসার পর মোবাইলটি হারিয়ে যায়। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। পরে থানায় ডায়েরি করি।
গত কয়েকদিন আগে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ফোন করে জানায় আমার মোবাইল ফোনটি ফিরে পেয়েছে।
পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে গৃহবধূ জর্ণা জানান, টাকা হারিয়ে গেলেও এত কষ্ট পেতাম না মোবাইলটি হারিয়ে যাওয়ার পর যে কষ্ট পেয়েছি। এখন খুব ভালো লাগছে। বলে বোঝানো যাবে না।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, গত অক্টোবর ও চলতি নভেম্বর মাসে ৩০ টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। যার মধ্যে অক্টোবর মাসে ২২ টি এবং চলতি নভেম্বর মাসে ৮ টি। মোট ৩০ টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন বলেন, কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, গত অক্টোবর ও চলতি নভেম্বর মাসে ৩১ টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। যার মধ্যে অক্টোবর মাসে ২২ টি এবং চলতি নভেম্বর মাসে ৯ টি। মোট ৩১ টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, সেবাই পুলিশের মহান ব্রত। পুলিশ সুপার কুমিল্লার নেতৃত্বে আমরা টিম কুমিল্লা সার্বক্ষণিক নাগরিকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিন্তকরণে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। একটি মোবাইল হারানোকে আমরা শুধু মোবাইল হিসেবেই দেখি না এর সাথে অনেকের ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, স্মৃতি, আবেগ জড়িয়ে থাকে। তাই এই সংক্রান্ত জিডিগুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..