স্বল্প খরচে ঘুরে আসুন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক গ্রামের মায়াদ্বীপ থেকে। মেঘনা নদীর বুক চিরে জেগে ওঠা অপূর্ব এক দ্বীপের নাম মায়াদ্বীপ। ঈশা খাঁ যেখানে এক সময় বাংলার রাজধানী স্থাপন করেছিলেন, সেখান থেকে নদীপথে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মায়াদ্বীপ। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে চমৎকার এ দ্বীপ নুনেরটেক নামে বেশ পরিচিত। গুচ্ছগ্রাম, সবুজবাগ ও রযুনার চর-এ তিনটি অংশে বিভক্ত করা হয় দ্বীপটিকে। গুচ্ছগ্রামের সামনে সুবিশাল বিস্তৃত অংশটিই আজকের মায়াদ্বীপ। সেখানে উপভোগ করা যায় নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। সবুজের সঙ্গে প্রকৃতির মিতালি দ্বীপটিকে দিয়েছে বিশেষ রূপ। যা প্রকৃতি প্রেমিকদেরকে আরো বেশী আকৃষ্ট করেছে।
মায়াদ্বীপ যাওয়ার উপায়ঃ
মায়াদ্বীপ মূলত নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত। এটি সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক গ্রামে অবস্থিত। রাজধানী থেকে মায়াদ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রথমে যেতে হবে গুলিস্তান। তারপর সেখান থেকে দোয়েল, স্বদেশ অথবা বোরাকের এসি কিংবা নন-এসি বাসে উঠে চলে যান মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা। এ ক্ষেত্রে বাসে জনপ্রতি ভাড়া গুনতে হবে ৩৫ থেকে ৫০ টাকার মতো। তারপর মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা থেকে যেকোনো অটোরিকশা নিয়ে চলে যান বারদী বৈদ্যের বাজারে। এখানে একটা কথা বলে রাখি, কেউ যদি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যেতে চান, তাহলে যেতে পারেন। কেননা, এখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো। তারপর বারদী বৈদ্যের বাজারে এসে মেঘনা নদীর ঘাটে চলে যান। সেখান থেকে প্রয়োজন অনুসারে ঘণ্টা চুক্তিতে (২০০ টাকা) কিংবা দিন চুক্তিতে (১২০০ টাকা) একটি নৌকা বা ট্রলার ভাড়া করে যাত্রা করুন মায়াদ্বীপের উদ্দেশে। এ ক্ষেত্রে মায়াদ্বীপ পৌঁছাতে সময় লাগবে ২০-২৫ মিনিটের মতো।
কিছু টিপসঃ
মায়াদ্বীপে সময় কাটানোর ইচ্ছে থাকলে কিছু শুকনো খাবার সঙ্গে নিয়ে নিন। আর হ্যাঁ, অবশ্যই বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে নেবেন। কারণ, দ্বীপে কোনো প্রকার খাবার পাবেন না। তবে মায়াদ্বীপে আসার আগে বারদী বৈদ্যের বাজারেই আনুষঙ্গিক সবকিছু পেয়ে যাবেন। মায়াদ্বীপ ভ্রমণে কয়েকজন একত্রে যাওয়াটাই উত্তম।
যা করবেন নাঃ
অপরিচিতদের দেওয়া যেকোনো খাবার পরিহার করুন। কোনোভাবেই নদীর পানি পান করবেন না। পরিবেশ রক্ষার্থে দ্বীপে ও নদীর পানিতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন। সম্ভব হলে অন্যকেও এ বিষয়ে সচেতন করুন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সর্বদা এগিয়ে আসুন।