দাড়ি কেটে গোঁফ রাখল তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি ধরা পড়েই গেল আবুল হোসেন। জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে ছাই করার একদম শুরুতে ছিলেন তিনি। এ ঘটনা কিভাবে ঘটলো তার শুরু যে তিনি করেছিলেন তাও অকপটে স্বীকার করেছিলেন আবুল।যখন হত্যা মামলার আসামি হওয়ার পর অথবা আসামি হতে পারেন ধারনা করে বুড়িমারী থেকে পালিয়ে যান আলোচিত হোসেন ডেকোরেটরের মালিক আবুল হোসেন ওরফে হোসেন আলী।
লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের ওসি ওমর ফারুক বলেন, গত শনিবার ভোরে রাজধানী ঢাকায় আবুল হোসেন ওরফে হোসেন আলীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে তিনি বুড়িমারী থেকে পালিয়ে লোকজনের চোখ এড়িয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারীতে এসে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠেন। সেখানেই নিজের মুখের দাড়ি কেটে ফেলেন এবং গোঁফ রাখেন। লোকজন যাতে চিনতে না পারে সেজন্য টুপি, পাঞ্জাবি ও লুঙ্গি বাদ দিয়ে শার্ট এবং প্যান্ট পরে রংপুর চলে যান। সেখান থেকে বাসে চেপে ঢাকায় আসেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে বসবাসরত আপন ছোট ভাই আব্দুর রহমানের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু, শনিবার ভোরে রাজধানী ঢাকায় বাস থেকে নামার সময়ই গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করে। আদালতের মাধ্যমে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মো.মাহমুদুন্নবী বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আমরা সবকিছুই জানার চেষ্টা করছি। আশাকরি সময় হলে আপনারাও কিছু জানতে পারবেন।