শীত-আসার-পুর্বেই-বিশ্বে করোনাভাইরাস ভয়ঙ্কর রূপ নিতে শুরু করেছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ কোটি ছাড়িয়েছে। রোববার রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত ৩০ দিনে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোট আক্রান্তের এক চতুর্থাংশের জন্য দায়ী।অতিসংক্রামক এই মহামারী বিস্তারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মাস হিসেবে দেখা গেছে অক্টোবরকে ।
দিনে লাখের বেশি সংক্রমণের তালিকায় প্রথমে নিজের নাম লেখাল যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপেও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মারাত্মক রূপ নিয়েছে।গত সাত দিনে বিশ্বে গড় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি। মহামারীর বছর না গড়াতেই বিশ্বে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ ছাড়িয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন সোয়া ৩ কোটি মানুষ।
বছরের শুরুতে ইউরোপকে বিপর্যস্ত করে করোনাভাইরাস হানা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। গরমের সময় সংক্রমণ কিছুটা কমে এলেও শীত ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আবার বাড়ছে।সংখ্যার হিসাব চলতি নভেম্বরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা জাগাচ্ছে। শীতের শুরুতে আক্রান্তের হার কতটা বাড়ছে, তা বোঝা যাবে ছোট্ট একটা হিসাবেই।
আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি থেকে চার কোটিতে যেতে যেখানে লেগেছিল ৩২ দিন, সেখানে সর্বশেষ এক কোটি বাড়তে লাগল ২১ দিন। আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এক কোটি ২০ লাখ ইউরোপে, বিশ্বে মোট মৃত্যুর ২৪ শতাংশই এই মহাদেশের।রয়টার্সের খবর বলছে, ইউরোপে এখন প্রতি তিন দিনে ১০ লাখের মতো রোগী শনাক্ত হচ্ছে, যা বিশ্বে এই সময়ে আক্রান্তের মোট সংখ্যার অর্ধেকের বেশি।
ফ্রান্সে গত সপ্তাহে গড়ে প্রতি দিন ৫৪ হাজারের মতো আক্রান্ত হয়েছে, যা ভারতের চেয়ে বেশি। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লকডাউনসহ বিধিনিষেধের কড়াকড়ি আবার ফিরিয়ে আনছে।
যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৮ লাখ ছাড়িয়েছে। যা বিশ্বের মোট রোগীর ২০ শতাংশ।নির্বাচনের পর গত চার দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনিবার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার। এরপর সবচেয়ে বেশি রোগী ভারতে, সংখ্যাটি ৮৫ লাখের বেশি। দুর্গাপূজার পর আক্রান্তের সংখ্যা সেখানে প্রতিদিন ৪৬ হাজার করে বাড়ছে।
ভারতের পরে রয়েছে ব্রাজিল, দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬ লাখের বেশি। তারপরে রয়েছে রাশিয়া (সাড়ে১৭ লাখ), ফ্রান্স (১৭ লাখ), স্পেন (১৩ লাখ), আর্জেন্টিনা (১২ লাখ) ও যুক্তরাজ্য (১২ লাখ)। মৃতের সংখ্যায়ও সবার উপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দেশটিতে ইতোমধ্যে ২ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।