1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কু‌মিল্লায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘাতক গ্রেফতার ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন কু‌মিল্লা সদর দ‌ক্ষিণে স্কুল ফেরার প‌থে শিশু‌কে ধর্ষণের পর হত্যা ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন

বাসে অজ্ঞান যাত্রী‌কে সহ‌যো‌গিতা করল নারী সার্জেন্ট

আর. সাইফ
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২০
  • ৩১০ বার পঠিত
বাস থে‌কে না‌মি‌য়ে অজ্ঞান যাত্রী‌কে নিরাপ‌দে পৌ‌ছে দি‌লেন নারী সা‌র্জেন্ট ইসমত তারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কলেজগেট ও শেরেবাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশেই ডিউটিরত নারী পুলিশ সার্জেন্ট ইসমত তারা। তার সঙ্গে ছিলেন আরেক নারী সার্জেন্ট রেহানা পারভীন। তবে সার্জেন্ট রেহানার ডিউটি ছিল না। হঠাৎ একজন যুবক এসে বললো, স্যার আমার বাসে একজন নারী অজ্ঞান হয়ে পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সার্জেন্ট ইসমত তারা ও রেহানা পারভীন দৌড়ে মনজিল পরিবহনের বাসে ওঠেন। সামনে বসা এক নারীকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। পরে দুজন ধরে বাস থেকে নামিয়ে একটি চেয়ারে বসিয়ে চোখে-মুখে পানি দেন। ধীরে ধীরে জ্ঞান ফিরে আসে।

কিছুক্ষণ পর ওই নারীর কাছে থাকা মোবাইল থেকে নম্বর নিয়ে তার এক আত্মীয়কে ফোন দেন সার্জেন্ট রেহানা। অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি জানান, ওই নারীর নাম তাহমিনা। কিছুক্ষণ আগে তাহমিনাকে সদরঘাটের বাসে তুলে দেন বলে জানান। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়ায়। তাহমিনা অনেকটা শারীরিকভাবে দুর্বল। তাকে বাসায় যেতে নিষেধ করা হয়েছিল কিন্তু শোনেননি।এখন কী অবস্থা জানতে চাইলে সার্জেন্ট ইসমত তারা জানান, এখন আগের থেকে অনেক ভালো। তিনি নিজেকে সুস্থ মনে করায় সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তাকে আবার সদরঘাটের বাসে তুলে দেয়া হয়।

তাহমিনা বলেন, শরীর অনেক দুর্বল থাকায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরে দেখি পুলিশ আপারা আমাকে ফ্যানের নিচে বসিয়ে রেখেছেন। চোখে-মুখে পানি দিয়েছেন। এরপর অনেক সু্স্থবোধ করি। তাদের বলি আমাকে সদরঘাটের বাসে তুলে দিতে। তারা আমাকে পরে বাসে তুলে দেন।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ডিউটিরত নারী সার্জেন্ট ইসমত তারা ও সহকর্মী সার্জেন্ট রেহানা পারভীন কথা বলছিলাম। হঠাৎ একজন আমাদের এসে বলে, বাসে একজন যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন। আমরা দুজনই দ্রুত ছুটে যাই সেখানে। পরে নারীকে বাস থেকে নামাই।

তিনি বলেন, প্রথমে আমরা মনে করেছিলাম বোরকা পরা থাকায় গরমে তার কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা। এরপর হিজাব খুলে নাকে-চোখে মুখে পানি দিলে কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরতে শুরু করে। জ্ঞান ফিরলে তার মোবাইল থেকে নম্বর নিয়ে তার আত্মীয়ের সাথে যোগাযোগ করা হয়। পরে তাকে আবারও সদরঘাটের বাসে তুলে দেই।এক প্রশ্নের জবাবে সার্জেন্ট ইসমত তারা বলেন, আমরা যখন জানতে পারলাম একজন মানুষ অসুস্থ অবস্থায় আছে তখন মানবিকভাবেই আমরা এগিয়ে যাই। এটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com