লক্ষীপুর জেলার রায়পুরে আপন খালু এক নাগাড়ে ১৩ দিন আটকে রেখে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৭ অক্টোবর রায়পুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকা থেকে কিশোরীর পরিবার ধর্ষক খালু কামরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশের নিকট সোর্পদ করে।
ভিকটিমের পরিবার সুত্র থেকে জানা যায়, রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রস্তুমপুর গ্রামে ওই কিশোরীর বাড়ি। সে পাশের গৃদকালিন্দিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার আপন খালু কামরুল ইসলাম দুই বছর আগে কিশোরীকে প্রথমবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই সময় কামরুল কৌশলে ধর্ষণের সেই ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখে। পরবর্তীতে ওই ভিডিওর ভয় দেখিয়ে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করে। সবশেষ গত ২৫ সেপ্টেম্বর কিশোরীকে কৌশলে অপরহরণ করে পার্শবর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় একটি বাসায় আটকে রাখে। সেখানে টানা ১৩ দিন কিশোরীটিকে ধর্ষণ করে খালু।
এদিকে, মেয়েকে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে তার পরিবারের লোকজন বুধবার (০৭ অক্টোবর) রাতে রায়পুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকা থেকে কামরুল ইসলামকে আটক করে এবং সেখান থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে। পরে তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন তারা। এই ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফী আইনে রাতেই ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এই ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ শহিদ হোসেন জানান, বুধবার রাতেই মামলা গ্রহণ করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, ঘটনার শিকার ভিকটিম কিশোরীটিকে ডাক্তারি পরীক্ষাসহ আদালতে তার ২২ ধারায় জবানবন্দি রের্কড করা হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..