ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের নির্দেশনা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন ধর্ষণ মামলার বাদী ঢাবির সেই শিক্ষার্থী। কিন্তু আবেদনটি রক্ষণীয় নয় বলে তা মামলার নথিভুক্ত করার আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে আদালত বলেছেন, আমলযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা যায়। সেক্ষেত্রে আদালতের কোনও আদেশের প্রয়োজন হয় না। রবিবার (৪ অক্টোবর) বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তারের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালত আদেশে উল্লেখ করেন, ‘অত্র মামলাটি জিআর মামলা। যেহেতু মামলাটি আমলযোগ্য অপরাধ, সেহেতু আমলযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে বিনা ওয়ারেন্ট গ্রেফতার করা যায়। সেক্ষেত্রে আদালতের কোনও আদেশের প্রয়োজন হয় না। তাই বাদীর দরখাস্তটি রক্ষণীয় নয় বিধায় তা নথিভুক্ত করা হলো। ’এর আগে রবিবার সকালে আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশনা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন ধর্ষণ মামলার বাদী ঢাবির সেই শিক্ষার্থী। এরপর বিচারক শুনানি শেষে নথি পর্যালোচনা করে এই আদেশ দেন।পলিশ অজ্ঞাত কারণে এখনও এরকম একটি মামলার আসামিদের গ্রেফতার না করার ফলে বাদী চরম নিরপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আসামিরা গ্রেফতার না হলে মামলার তদন্ত প্রভাবিত হওয়ায় সম্ভবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাদী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।’
বাদী আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করলেও আসামিদের গ্রেফতার না করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদাসীনতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। রবিবার বাদী আদালতে হাজির ছিলেন।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ছয় জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়। মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), একই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন (২৮), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকি(২৩)।
এ ছাড়াও গত ২১ সেপ্টেম্বর বাদী কোতোয়ালি থানায় একই অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।