প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ে নিয়ে পারিবারিক কিছু বিষয়ে দ্বন্ধ তৈরি হওয়াকে কেন্দ্র করে প্রেমিকার পরিবার বিয়ে দিতে রাজী না হওয়ায় প্রেমিকাকে এসিডে ঝলসে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কথিত প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসিডে দ্বগ্ধ হওয়া দরিদ্র ওই কিশোরীর চিকিৎসার ব্যয়ভারের দায়িত্ব নিয়েছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম বার পিপিএম।
জানা যায়, এক বছর পুর্বে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের মোসলেম মিয়ার ১৩ বছরের মেয়ে খাদিজার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে চট্টগ্রামের ডবলমুড়িং থানার প্রেমিক হারুনের। ৪ মাস পুর্বে খাদিজার পরিবারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ের আলোচনা হলেও দুই পক্ষের বনিবনা না হওয়ায় বিয়ে ভেঙে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেমিক হারুন গত বৃহস্পতিবার(ে২৪ সেপ্টেম্ব)ে রাতে বাড়ির জানালা দিয়ে খাদিজার শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এসিডে খাদিজার শরীরের ৫০ ভাগ পুড়ে যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। খাদিজাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় এসিড নিক্ষেপকারী প্রেমিক হারুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খাদিজার পরিবার দরিদ্র ও গরীব হওয়ায় তার চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহন করার দায়িত্ব নিলেন মানবতার ফেরিওয়ালা ও একজন চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। এছাড়াও দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত মানুষের পাশে থেকে সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি দরিদ্র ,অসহায় পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে তাদের পাশে দাড়িয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।