কুমিল্লায় হত্যার ১৩ বছর পর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মজনু মিয়াকে (৪০) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
গোয়েন্দা তৎপরতা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার (১ আগস্ট ২০২৩) সকাল সাড়ে ৮টায় সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ী বিশ্বরোড এলাকা থকে তাতে গেফতার করে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর সদস্যরা।
গত ২৮ জুলাই ২০১০ বিকালে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার বাগমারা পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল করিমকে (৩৫) আসামী মজনু মিয়া (৪০) ও কবির মিয়া তার নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। উক্ত ঘটনার চারদিন পরে ০২ আগস্ট দুপুরে বালুর মাঠের পশ্চিমে তিতাস নদী থেকে ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার করে হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্ণিত মামলার রুজুর দীর্ঘ ১৩ বছর সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্ধেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামী মজনু মিয়া ও কবির মিয়াকে বিজ্ঞ আদালত মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন এবং একই সাথে তাদের ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের সাজা প্রদান করেন।
কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর ইনচার্জ স্কোয়াড্রন লীডার এ কে এম মুনিরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতারের নিমিত্তে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মজনু মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার হোমনা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।