দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ স্ত্রীর নামে রেখে ফেঁসে গেলেন নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও শিপ সার্ভেয়ার ড. এস এম নাজমুল হক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে স্ত্রী সালেহা নাজমুলের নামে অবৈধ অর্থ জমা রাখার প্রমাণ মিলেছে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে উভয়কে আসামি করে মামলা করেছে দুদক। সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম রোববার সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অনুসন্ধানে সালেহার নামে ৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১ কোটি ৮১ লাখ টাকার বৈধ সম্পদ। আর বাকি ২ কোটি ৬৪ লাখ ৭১ হাজার টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত। এই সম্পদ তিনি ভোগদখলে রেখে দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এজাহারে বলা হয়, জনতা ব্যাংক ঢাকার মৌচাক মার্কেট শাখায় স্ত্রী সালেহার অ্যাকাউন্টে ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর ১ কোটি টাকা এবং ২০১৮ সালের ২৮ জুন ৫০ লাখ টাকা জমা করেন নাজমুল। পরে ওই হিসাব থেকে ২০১৮ সালের ১০ জুলাই আটলান্টিক মেরিটাইম একাডেমির জমি কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা প্রদান করেন সালেহা। এতে প্রতীয়মান হয়, নাজমুল চাকরিকালীন ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে যে অর্থ অর্জন করেছেন, তা স্ত্রীর নামে রেখেছেন। এর মাধ্যমে তিনি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
সালেহার নামে যেসব সম্পদ পাওয়া গেছে সেগুলো হলো– খুলনার বানিয়া খামার মৌজায় ২ কাঠা জমিতে তিনতলা বাড়িসহ ১০ লাখ টাকা, ঢাকার বাড্ডার বড়ুয়া মৌজায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যের ৫ কাঠা জমি, ঢাকার তুরাগ থানার ভাটুলিয়া মৌজায় ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১৬.৫ শতক জমি, সিদ্ধেশ্বরীতে ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের ৭০০ বর্গফুটের দোকান এবং তুরাগ থানার ভাটুলিয়া মৌজায় ১০৩৫ ও ১০৩৮ দাগে ২৬ লাখ ৫০ টাকা মূল্যের ৩৩ শতাংশ জমি। এ ছাড়া উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরের উত্তরা প্রকল্পে ফ্ল্যাটের মূল্য বাবদ ৯ লাখ ৭১ হাজার টাকা পরিশোধ ও পূর্বাচলে ৬০ লাখ টাকায় রাজউকের ১০ কাঠার প্লট কেনা হয়েছে।