বৃষ্টিতেও সিলেটে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সোমবার (১৯ জুন) মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচারণা চালান প্রার্থীরা। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেন সব প্রার্থী। বৃষ্টিতে ভিজে ভোটারদের কাছে গিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চান তারা।
বুধবার (২১ জুন) ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার ও ৪২ ওয়ার্ডের এই সিটিতে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সিলেটের ৮ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টি মনোনীত নজরুল ইসলাম বাবুলের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।
এর আগে শনিবার (১৭ জুন) আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও স্মার্ট সিটি বিনির্মাণে ২১ দফা নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেন। রবিবার (১৮ জুন) জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম ২১ দফা ইশতেহারে পরিকল্পিত আধুনিক নগরীর প্রতিশ্রুতি দেন।
অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিসিক নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছে, সোমবার (১৯ জুন) মধ্যরাত ১২টার পর আর কোনও প্রার্থী প্রচারণা চালাতে পারবেন না। একই সঙ্গে যান চলাচলেও থাকছে নিষেধাজ্ঞা। নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু ও সুন্দর রাখতে মাঠে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর কোনও ধরনের প্রচার চালালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, ১৯০টি ভোট কেন্দ্রের বাইরে থাকবে দুটি করে সিসি ক্যামেরা। ক্যামেরা থাকছে ১৩৬৭টি ভোট কক্ষেও। সব মিলিয়ে মোট সিসি ক্যামেরা থাকছে ১৭৪৭টি। এসব তদারকি করা হবে ইসির প্রধান কার্যালয় থেকে। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে আবুল মাল আবদুল মুহিত কমপ্লেক্স হতে কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হবে।
এই নির্বাচনে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০ এবং নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন। মেয়র পদে আট, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।বিট্রি