মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় এক নারীর লাথিতে লোকমান হোসেন (৫০) নামে এক ঘটক নিহতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ আছে, ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে ধর্ষণ করায় এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তার মেয়ের বিয়ের ঘটকালি করতে গিয়ে ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ঘটক।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাতে ঘটককে হত্যার অভিযোগে পাকুটিয়া গ্রাম থেকে ওই নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। শুক্রবার পিবিআই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, নিহত লোকমান হোসেন সাটুরিয়া উপজেলা সীমান্তবর্তী টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের আউটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষিকাজের পাশাপাশি ঘটকালি করতেন। এর সূত্রেই তিন মাস আগে ওই নারীর সঙ্গে তার পরিচয়। নারীর মেয়ের বিয়ে নিয়ে ঘটকালি করতে চাওয়ায় প্রায় মোবাইল ফোনে তাদের কথা হতো। এভাবে গড়ে ওঠে সম্পর্ক।
বুধবার (১৪ জুন) রাত ৯টার দিকে লোকমান কল করে ওই নারীকে বাড়ির পেছনের পুকুর পাড়ে আসতে বলেন। সেখানে গেলে তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে লোকমানের সংবেদনশীল অঙ্গে লাথি মারলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
সূত্র বলছে, ওই নারী পিবিআইকে ও আদালতে বলেছেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ের সুযোগ নিয়ে সে আমার সঙ্গে তিন মাস মোবাইলে কথা বলেছে। কথা বলতে বলতে সম্পর্ক গড়ে তোলে। ওই দিন রাতে সে আমাকে পুকুর পাড়ে ডেকে নিয়ে মেয়ের বিয়ের কথা বলে জোর করে ধর্ষণ করে। এ কারণে আমি তাকে লাথি মেরেছিলাম। লাথিটি সেখানে লাগবে বুঝতে পারিনি। অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে ফেলে আমি বাড়ি চলে আসি।’
বৃহস্পতিবার সকালে সাটুরিয়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আবদুল হাকিম বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় মামলা করেন। এরপর আদালত মামলাটি তদন্ত করতে মানিকগঞ্জ পিবিআইকে দায়িত্ব দেন। পিবিআই কর্তৃপক্ষ এসআই সামরুল হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। এসআই সামরুল হোসেন ঘটনার ছয় ঘণ্টার মধ্যে একই দিন রাতে ওই নারীকে গ্রেফতার করেন।
সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) ইমাম আল মেহেদী জানান, নিহত লোকমানের ছেলে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে আর কেউ জড়িত থাকার সন্ধান পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে।