চাঁদপুরের মতলব উত্তরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মোবারক হোসেন বাবু (৪৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ জহির ও ইমন নামে দুজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর চরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দেশি অস্ত্র-শস্ত্রসহ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
নিহতের ভাই আমির হোসেন কালু বলেন, ‘স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানের কর্মীরা মায়া চৌধুরীর সমাবেশে আসার পথে বাধা দেয় ও প্রকাশ্যে গুলি চালালে এ ঘটনা ঘটে।
মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ‘৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজ্জাক প্রধান ও কালু প্রধান গ্রুপের মাঝে আগে থেকেই মারামারি, মামলা-হামলার মতো ঘটনা ছিল। আজ মায়া চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি সমাবেশ আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশে যোগদানের জন্য কালু প্রধান গ্রুপের লোকজন এলাকায় এসে রাজ্জাক প্রধানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ সময় দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি মাথায় আঘাত পান। পরে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পেরেছি তিনি মারা গেছেন। আমি সংঘর্ষের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
ঘটনার পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘হামলাকারী কাজী মিজান গ্রুপ আওয়ামী লীগের কেউ না। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ বলেন, ‘এটি আওয়ামী লীগের দু পক্ষের সংঘর্ষ বলবো না। চরে ওই দু পক্ষের মাঝে বহুদিন ধরেই ঝামেলা চলে আসছে। আজ সংঘর্ষে একজন মারা গেছে বলে খবর পেয়েছি। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’