কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪ জন হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন খেলোয়ারসহ অন্তত ১৫ জন।
রবিবার (১১ জুন) বিকাল ৪টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালবাগ এলাকায় ইউটার্নে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- গাড়িচালক মোর্শেদ আলম (৩৫), জোড়কানন পূর্ব ইউনিয়নের লালবাগ গ্রামের শাহআলমের ছেলে সাকিব (১৫), একই এলাকার মোহন মিয়ার ছেলে সৈকত (১৬) ও আব্দুর রহীমেরর ছেলে ফয়সাল (১৭)।
জানা গেছে, একটি খোলা পিকআপ ভ্যানে করে ২০/২৫ জনের একদল কিশোর খেলোয়ার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ মাঠে খেলায় অংশ নিতে যাচ্ছিল। ওই মাঠে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক (অনূর্ধ ১৭) এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালিকা (অনূর্ধ ১৭) ২০২৩-এর খেলা ছিল। বিকালে ওই মাঠে ‘বারপাড়া বনাম জোড়কানন (পূর্ব)’ ইউনিয়নের মধ্যে খেলা হবার কথা ছিল। সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ মাঠে যাওয়ার পথে মহাসড়কের লালবাগ এলাকায় ইউটার্নে পৌঁছার পর বেপরোয়া গতির একটি কাভার্ডভ্যান ওই পিকআপকে ধাক্কা দিয়ে পিকআপসহ মহাসড়কের পাশে উলটে যায়।
এ সময় কাভার্ড ভ্যানটির নিচে চাপা পড়ে যায় পিকআপটি। এতে খেলোয়াররাও ওই পিকআপের নিচে চাপা পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও সদর দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। ক্রেন দিয়ে কাভার্ড ভ্যান সরিয়ে খেলোয়ারদের উদ্ধার করা হয়। ৫টি অ্যাম্বুল্যান্সে করে হতাহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পিকআপ চালক লালবাগ গ্রামের আলী আহাম্মদের ছেলে মোরশেদ এবং একই গ্রামের মোহন মিয়ার ছেলে ৯ম শ্রেণির ছাত্র সৈকতকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাকিব ও ফয়সালকে ঢাকা নেওয়ার পথে দাউদকান্দি যাওয়ার পর তারা মারা যায়। তাদেরকে বাড়ির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।