সামাজিক সুরক্ষা খাত, স্বাস্থ্য, কৃষিতে বরাদ্দ বাড়লেও চলতি অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া দুঃখজনক। মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ, এসডি কার্ড, স্ক্যানার, প্রিন্টার, সিসি টিভি, ইলেক্ট্রনিক ও ইলেকট্রিক হোম অ্যাপ্লায়ন্স এখন আর বিলাসী দ্রব্য নয়। প্রস্তাবিত বাজেটে এগুলোর দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং স্ববিরোধী। এলপি গ্যাস সিলিন্ডার, সিমেন্ট, কলম, চশমা, কাগজের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পরবে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের ওপর।
বৃহস্পতিবার (১জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামালের পেশ করা ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমন অভিমত ব্যাক্ত করেন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক লিখিত প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তারা।
জাসদ নেতারা বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার সুদূর প্রসারী অভিঘাত এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সৃষ্ট সংকটের মধ্যে প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় অর্থনীতি ধরে রাখার প্রচেষ্টা। তারা বলেন, ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা ঘাটতি ধরেও ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন জাতীয় অর্থনীতির সক্ষমতারই পরিচায়ক।
তবে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে প্রশাসনিক দক্ষতা, রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের মান ধরে রাখার জন্য সুশাসন নিশ্চিত করা, রাজস্ব আহরণের পদ্ধতি জোরদার করা, কর ও রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া বন্ধ করা গেলে এ ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে।
জাসদ নেতারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে— বাজার সিন্ডিকেট ধ্বংস করে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা, সীমিত ও নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ধরে রাখা, বিদ্যুৎ-গ্যাস-জ্বালানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখা এবং ডলার ব্যবস্থাপনাসহ আন্তর্জাতিক লেনদেন সচল রাখা।