মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে একটি মোটরসাইকেল মানে একটি গাড়ি। কিন্তু দুই চাকার এ বাহনটিতে চালকসহ দু’জনের অধিক যাতায়াত করা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ। কিন্তু মোটরসাইকেল মালিকরা কেউই এ আইন মানতে চাননা। এক মোটর সাইকেলে ৩জন কিংবা তারও অধিক আরোহী নিয়ে ছুটে চলেন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। এর ফলে সড়কে প্রাণ ঝড়ে অধিকাংশেরই। পরিবারের সব সদস্যদের নিয়ে একই মোটরসাইকেলে আরোহন করে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা হরহামেশা ঘটছে। কিন্তু তারপরও সচেতনতার অভাব রয়েছে। গতকাল কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বুড়িচংয়ের তুতবাগান এলাকায় এমনি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাবা, মা ও দুই কন্যা নিয়ে সফরে বের হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে মা ও এক মেয়ে। আর মারাত্মক আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন বাবা ও অপর মেয়ে। জনতা পরিবহন নামের বাসের ধাক্কায় সোমবার দুপুরে মোটরসাইকেল আরোহী মা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বাবা ও অপর মেয়ে এরশাদ,মাহিনুর। পুলিশ ঘাতক বাসটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ও হাইওয়ে পুলিশ সুত্র জানায়, গতকাল সোমবার জেলার দেবিদ্বার থেকে মোটরসাইকেলযোগে এরশাদ মিয়া তার স্ত্রী কুলসুম (৩৬) ও কন্যা মাহিনুর (৮) ও শাহিনুর বেগম (৩) কে সঙ্গে করে কুমিল্লা আসার পথে দুপুর ২.৪০ মিনিটে বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের তুতবাগান এলাকায় পৌঁছলে পেছন থেকে কুমিল্লাগামী নিউ জনতা পরিবহনের একটি দ্রুতগামীবাস পেছন থেকে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী মা-মেয়ের মৃত্যু হয়। চালক এরশাদ pমিয়া ও অপর শিশু কন্যা মাহিনুর এসময় অক্ষত অবস্থায় প্রানে বেঁচে যান। নিহতদের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সাঁইচাপাড়া এলাকায়। দুর্ঘটনার পর চালক বাসটি ফেলে পালিয়ে যায়। ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশ ঘাতক বাসটি আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ময়নামতি ক্রসিং হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাফায়েত হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।