রাজধানীতে কম দামে সৌদি রিয়াল বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বনানী থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ মিরাজ তালুকদার, মোঃ আহাদ শেখ, মোঃ হায়দার মৃধা, মফিজুল মিয়া ও ইমারাত মোল্লা।
বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ডিএমপি নিউজকে জানান, ডাঃ এটিএম মাহবুবুল আলম (ছদ্মনাম) গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ দিয়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি সৌদি রিয়েল কোথায় ভাঙ্গানো যায় তাকে জিজ্ঞেস করেন। ডাঃ মাহবুবুল আলম অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে এআর মানি এক্সচেঞ্জ দেখিয়ে দেন। তখন ডাঃ এটিএম মাহবুবুল আলমকে তার সাথে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ডাঃ মাহবুবুল আলম অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সাথে এআর মানি এক্সচেঞ্জে যান। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মানি এক্সচেঞ্জে থেকে ১০০ রিয়াল পরিবর্তন করে টাকা নেন। এআর মানি এক্সচেঞ্জ থেকে বের হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ডাঃ মাহবুবুল আলমকে জানায় তার নিকট আরো অনেক সৌদি রিয়াল আছে। যা মানি এক্সচেঞ্জের চেয়ে একটু কম মূল্যে ৯ লক্ষ রিয়াল ৯ লক্ষ টাকায় দিতে পারবেন। ডাঃ এটিএম মাহবুবুল আলমের বোন হজ্ব করার উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাবেন। সৌদি রিয়াল প্রয়োজন হওয়ায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নিকট হতে রিয়াল নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। পরবর্তীতে ১ মার্চ সেই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ডাঃ এটিএম মাহবুবুল আলমকে ফোন করে রিয়াল নেয়ার জন্য বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ আসতে বলেন। ডাঃ এটিএম মাহবুবুল আলম অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কথা মতো আসেন। তখন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সাথে আসা ২ জন ব্যক্তি তাকে একটি ব্যাগ প্রদান করেন। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জানায়, ব্যাগের মধ্যে ৯ লক্ষ রিয়াল আছে। ডাঃ এটিএম মাহবুবুল আলম সরল বিশ্বাসে ব্যাগটি গ্রহণ করে নগদ ৯ লক্ষ টাকা প্রদান করেন। পরে বাসায় গিয়ে ব্যাগটি খুলে ভেতরে পেপার গামছা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় দেখতে পান। ডাঃ এটিএম মাহবুবুল আলম প্রতারণার বিষযটি বুঝতে পেরে বনানী থানায় একটি মামলা করেন।
তিনি বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর উদ্দিন ও এসআই প্রিয়তোষ চন্দ্র সরকার মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের অবস্থান শনাক্ত করেন। এরপর ২১ মে গোপালগঞ্জ থেকে আসামী লিয়াকতকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মিরাজ, আহাদ, হায়দার, মফিজুল ও ইমারাতকে গ্রেফতার করে ।
বনানী থানার রুজুকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।