২৭ বছরে অর্জিত সব অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেছেন রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মুক্তা সুলতানা। সম্প্রতি এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এনিয়ে ফের চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
জানা যায়, চাকরির বয়স শেষ হওয়ায় গত ২৩ মে ক্ষোভে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের সব অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেছেন ওই শিক্ষার্থী। চাকরির বয়সসীমা অতিক্রম হয়ে যাওয়ায় এই সার্টিফিকেট আর কোনও সরকারি বা বেসরকারি চাকরির কাজে লাগবে না জানিয়ে এ কাজ করেছেন ওই শিক্ষার্থী।
মুক্তা জানান, তার স্নাতকোত্তর পরীক্ষা ২০১৫ সালে হলেও ২০১৯ সালে তার সার্টিফিকেট ইস্যু হয়। এর ফলে ৪ বছর তিনি কোথাও চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেননি। চাকরির বয়সসীমা অনুযায়ী তার আবেদনের সময়ের ৪ বছর সার্টিফিকেটের জন্য অপেক্ষা করতে করতেই ফুরিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়াসহ পৃথিবীর কোথাও এই বয়সসীমা নেই। শুধু বাংলাদেশ আর পাকিস্তানে এই অবস্থা। যে সার্টিফিকেট দিয়ে সরকারি-বেসরকারি কোনও চাকরিতে আবেদন করা যায় না, সেই সার্টিফিকেট রেখে কী লাভ। ২৭ বছর পড়াশুনা করে যদি কোথাও বয়সের জন্য আবেদনই করতে না পারি তাহলে সার্টিফিকেট দিয়ে কী করবো!
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাকরির আবেদনের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করার জন্য ব্যানার-ফেস্টুন হাতে আন্দোলন করে আসছিলেন মুক্তা সুলতানা। আগামী ১০ জুন ফের চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর আন্দোলনে যোগ দিতে সবাইকে আহ্বান জানান ওই চাকরিপ্রার্থী।