কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), কুমিল্লা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পার্টিসিপেটরি অ্যাকশন এগেইনস্ট করাপশন: টুওয়ার্ডস ট্রান্সপারেন্সি এন্ড একাউন্টেবিলিটি (প্যাকটা)’ প্রকল্পের আওতায় গতকাল ২৪ মে ( বুধবার) দুপুর সাড়ে ১২ টায় সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লা ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আয়োজনে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবাগ্রহীতাদের অংশগ্রহণে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়।
সনাক কুমিল্লার স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটি যুগ্ম আহবায়ক ও সনাক সদস্য দিলনাশি মোহসেন সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গুণশুনানীতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সভায় উপ-পরিচালক ডা: সাজেদা খাতুন।
গণশুনানীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন সনাক সদস্য আলহাজ্ব শাহ্ মোঃ আলমগীর খান। গণ শুনানীতে অংশ নিয়ে সেবাগ্রহীতা বাতেন মিয়া ঔষধ সরবরাহ বাড়ানো পরামর্শ দেন। ইমা রানী সিংহ নার্স সংকট ও নিরাপদ খাবার পানির ব্যবস্থার দাবী জানান, হাজেরা বেগম টয়লেট বৃদ্ধির অনুরোধ করেন। জরিনা বেগম সিট সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেন।
সাংবাদিক আবু সুফিয়ান বেসরকারি এম্বুল্যান্স সমূহের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণে নীতিমালা ও হাসপাতালের ট্রলীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দাবী জানান।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি শাহ্ মো: আরেফিন হাসপাতালে টিকেট নিয়ে হয়রানি বন্ধে ই-টিকেটিং পদ্ধতি চালুর অনুরোধ করেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী পর্যাপ্ত ঔষধ, নিরাপদ খাবার পানি দ্রুত ব্যবস্থার তাৎক্ষনিক নির্দেশনা দেন। এছাড়াও তিনি-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু ও ট্রলী সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন। তিনি বেসরকারি এম্বুল্যান্স সমূহের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সনাকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি সনাক এর সহযোগিতার বাস্তবায়িত কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন।
সনাক সহ-সভাপতি অধ্যাপক নিখিল চন্দ্র রায় সদ্য যোগদানকারী পরিচালককে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সেবার মান আরো কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সেই উদ্দেশ্যে এই আয়োজন। তিনি সকল ধরনের ইতিবাচক কার্যক্রমে সনাকের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা জানান।
মতবিনিময় সভায় সহকারী পরিচালক ডা: নিশাত সুলতানা, সনাক সদস্য অধ্যাপক বিজয় কৃষ্ণ রায়, সেলিনা আক্তার, বিভিন্ন ওয়ার্ডের ডাক্তার, নার্সিং সুপারভাইজার, ওয়ার্ড মাস্টার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের সেবাদানকারী ও গ্রহণকারী প্রতিনিধিবৃন্দ, টিআইবি কর্মকর্তা, এসিজি