কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম সংবাদ পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদকসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের দামারপাড়া গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে ও চৌদ্দগ্রাম সংবাদ পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ডাঃ জানে আলম (৪৬), চৌদ্দগ্রাম বাজারের সেলুন কর্মচারী জেলার মুরাদনগর উপজেলার সন্তোষ চন্দ্র দাসের ছেলে উত্তম চন্দ্র দাস (৪২) এবং চৌধুরী বাজার এলাকার মোটর সাইকেল মিকানিক মোঃ রফিক (৫৫)।
জানা যায়, বুধবার রাতে নিজ প্রতিষ্ঠান চিওড়া ইউনিয়নের আরআর সেবালয় থেকে ফেণীর বাসায় যাওয়ার পথে রাত আনুমানিক ১১টায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের দত্তসার এলাকায় পিছন দিক থেকে আসা একটি পিকআপ (ঢাকা মেট্রো ল-১৫-৬৪৯৫) মোটরসাইকেলকে সজোরে ধাক্কা দিলে মোটর সাইকেলটি ধুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই মোটর সাইকেল চালক ডাঃ জানে আলমের মৃত্যু হয়। ঐদিন রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় দোকানের কাজ শেষ করে বাসায় আসার পথে উল্টো দিক থেকে আসা এ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় উত্তম চন্দ্র দাস। পরে তাকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর আনুমানিক ৩টায় উপজেলার জগন্নাথদিঘী ইউনিয়নের ফকিরবাজার চৌধুরী বাজার সড়কে সিএনজির পিছনে ধাক্কা দিলে মোটর সাইকেলে থাকা মেকানিক রফিক ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহত রফিক খুলনা সদর উপজেলার খালিশপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। সে চৌধুরী বাজারে মোটর সাইকেল মেকানিক হিসেবে কাজ করতো।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চিওড়া রাস্তার মাথায় প্রথম জানাযার নামাজ এবং নিজ গ্রামে দ্বিতীয় জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে ডাঃ জানে আলমের দাফন সম্পন্ন হয়।
মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশের এসআই কাউছার জানান, সড়ক দুর্ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করি। পরে লাশ থানায় আনলে স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশগুলো পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।