রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আহমেদের সাথে দেশের শীর্ষ প্রতারক, সন্ত্রাসী, চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর ৮মার্ডার মামলার অন্যতম আসামী রেজাউল করিম ওরফে রেজাউল্লাহ অভিনব পন্থা অবলম্বনে সাক্ষাৎ করেন। এই ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
যা নিয়ে নীটিজনরা নানা ধরনের বিরুপ মন্তব্য করছেন।
দেশের শীর্ষ পর্যায়ের এই প্রতারক কিভাবে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করেন। এ নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, তথ্য গোপন করে তিনি মহামাণ্য রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করেন এবং উক্ত ছবি প্রতারণার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছেন।
কে এই রেজাউল করিম:
দেশের শীর্ষ প্রতারক, শীর্ষ সন্ত্রাসী, বহু মামলার পলাতক আসামী রেজাউল করিমের নতুন প্রতারনার ফাঁদ ‘কুরিয়ার সার্ভিস ২৪ লিমিটেড’।
কুমিল্লার লাকসামের শীর্ষ সন্ত্রাসী, কুখ্যাত জংগী ক্যাডার , হাজার হাজার মানুষের সাথে বহুমূখী প্রতারনা করে অসংখ্য মামলার পলাতক আসামী মুহাঃ রেজাউল করিম অবশেষে নতুন প্রতারনার ফাঁদ পেতেছে। দীর্ঘদিন পলাতক এ দূর্দান্ত প্রতারক রাজধানীর মতিঝিলের মডার্ন ম্যানসনে অফিস স্থাপন করে কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যাবসা পরিচালনা করছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে এজেন্ট নিয়োগ করছে, এজেন্ট নিয়োগ দিতে প্রতি এজেন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার জামানত নিচ্ছে। এটা তার নতুন ফাঁদ, এ পক্রিয়ায় ইতিমধ্যেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা যায়।
সাবেক শিবির ক্যাডার ছিল এ প্রতারক, এ সুবাদে তার প্রতারনার টার্গেট হচ্ছে শিবিরের বেকার কর্মীরা। ইতিমধ্যেই অসংখ্য শিবির কর্মী তার ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে পথে পথে ঘুরছে। জানা যায় ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই প্রতারক আত্নগোপনে চলে যায়। এক পর্যায়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমায়। সেখানে গিয়েও শুরু করে নতুন প্রতারনার ফাঁদ, প্রবাসী শিবির কর্মীদের টার্গেট করে, সৌদি আরবের রিয়াদে প্রতিষ্ঠা করে ‘আন-নাখিল’ নামে একটি হাসপাতাল। একই কায়দায় ঐ হাসপাতালের শেয়ার বিক্রি করে প্রবাসীদের নিকট থেকে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। এক পর্যায়ে সকল টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে আসে । হাসপাতালটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। এখন আবার কুরিয়ার সার্ভিস ?? এজেন্সির জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ?? যার কাছে হাজার হাজার মানুষের কোটি কোটি টাকা পাওনা – সে ঐ টাকা না দিয়ে নূতন করে এজেন্সি দেওয়ার নাম করে নতুন প্রতারনার ফাঁদ ?? শুধু আইসিএল নাম একটি কোম্পানি চৌদ্দ কোটি তেষট্টি লক্ষ টাকার মামলা করেন এই প্রতারকের বিরুদ্ধে। যা এখনো চলমান রয়েছে, রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ ।
মামলা নং- সি.আর-৯৫৩, ৯৫৯, ৯৮৩, ৯৮৫, ৯৮৬, ৯৮৮/১৭, ১৪৭৬/১৯, সিএমএম, ঢাকা
এছাড়া দেশের বিভিন্ন আদালতে অসংখ্য প্রতারনার মামলা রয়েছে। সুত্র: দেশের টিভি