গৌরীপুরে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. সুজন মিয়া এবং মো. মাজহারুল ইসলাম সৈকত নামের দুই ছাত্রলীগ নেতাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বহিষ্কৃত সুজন মিয়া কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও মাজহারুল ইসলাম সৈকত দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবির তথ্য অনুসারে তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় ৯ আসামির মধ্যে ১ নম্বর আসামি সুজন (৩২)। হত্যাকাণ্ডের পর দিন তিনি নেপালে পালিয়ে যান।
অপরদিকে ঘাতকদের সহায়তা ও অস্ত্র লুকিয়ে রাখার অভিযোগে গত ৯ মে জেলার বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজার থেকে ছাত্রলীগ নেতা সৈকতকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি জেলার দেবিদ্বার উপজেলার নবিয়াবাদ গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
বিকালে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মহিউদ্দিন বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রাথমিক তদন্তে উভয়ের (সুজন-সৈকত) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিষয়টি দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক কেন্দ্রকে অবহিত করার পর কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে আজ তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের চিঠি পাঠিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে তদন্তে তারা নির্দোষ প্রমাণিত হলে হয়তো তাদের দলে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে কেন্দ্রীয় কমিটি।
গত ৩০ এপ্রিল রাত সোয়া ৮টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে বোরকা পরা তিন দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ২ মে রাতে দাউদকান্দি মডেল থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আটজনের নামে নিহতের স্ত্রী পপি আক্তার মামলা দায়ের করেন। মামলায় এ পর্যন্ত তিনজন এজাহার নামীয় আসামিসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র্যাব।