একসময় যাঁরা আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করতেন, আওয়ামীবিরোধী রাজনীতি করতেন, সেই বিএনপি-জামায়াতের অনেকে নিজেদের স্বার্থে টার্গেট করে দলে দলে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগে। অনেকে সরাসরি বিএনপি-জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগে যেমন যোগ দিয়েছেন, আবার অনেকে জামায়াত থেকে বিএনপি হয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। শুধু যোগদান নয়, এই যোগ দেওয়া নেতাকর্মীদের অনেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটিতে পদ-পদবি বাগিয়ে নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগে আগে যাঁরা বিভিন্ন কমিটির পদে ছিলেন, তাঁদের হটিয়ে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করে নিচ্ছেন। একদা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এই নেতাকর্মীরা টার্গেট করে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে রাতারাতি হয়ে যাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক। বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারীদের দলীয় পদ-পদবি দেওয়ার ক্ষেত্রে উদারতা দেখিয়েছে আওয়ামী লীগও। বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান ঘটেছে মূলত দুটি পর্যায়ে। প্রথম পর্যায় হলো ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর। আর দ্বিতীয় পর্যায় হলো ২০১৪ সালে চারদলীয় জোট যখন সরকারবিরোধী সহিংস আন্দোলনে ব্যর্থ হয় তার পর। বিভিন্ন গণমাধ্যম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য ও পাওয়া গেছে এই চিত্র।
তৃণমূলে বিএনপি পরিচিত দুইভাবে। এক, বিএনপি ও দুই, জামায়াতপন্থী বিএনপি। তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মীরা বলছে, জামায়াতপন্থী বিএনপির বেশির ভাগ স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের।
জামায়াত থেকে ঢালাওভাবে লোক এনে দলে ও বিভিন্ন সমাজিক প্রতিষ্ঠানে পদ দিয়ে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।’
তেমনি একজন নেতা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার তমিজ উদ্দিন ভূইয়া সেলিম। কথিত আছে তার ভাই নাইম জামাতের শীর্ষ নেতা এবং ডোনার।
আমাদের অনুসন্ধানে জানা যায়, চৌদ্দগ্রামের জামাতের সাবেক এমপি ডাঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরের ব্যবসায়িক পার্টনার এই তমিজ উদ্দিন ভূইয়া সেলিম। এ প্লাস গ্রুপ নামে তাদের রয়েছে অনেক বড় একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। ব্যবসা টিকানোর কুট কৌশল হিসেবে তমিজ উদ্দিন ভূইয়ার আ’লীগে অনুপ্রবেশ। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, তাদের গুলশানের অফিসেই বসে জামাতের গোপন বৈঠক।
গত বছর কোটি টাকার বিনিময়ে তমিজ উদ্দিন ভূইয়া সেলিমকে আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বানানো হয়।
এই বিষয়ে তমিজ উদ্দিন ভূইয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এবারও তিনি পদ পাবেন এবং তিনি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন। কিন্তু আমাদের প্রতিবেদক এই বিষয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান করেও এর সত্যতা পাওয়া যায়নি বরং প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ডাঃ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরের প্রোডাক্ট হিসেবে এই তমিজ উদ্দিন গংরা কুমিল্লা এবং চৌদ্দগ্রামে আওয়ামীলীগে বিভাজন সৃষ্টি করছে।
এই বিষয়ে আ’লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগে পদ-পদবি পাওয়ার কিছু ঘটনা আমাদের গোচরে এসেছে। অচিরেই আমরা শুদ্ধি অভিযানে নামব। সুত্র: আলোকিত ঢাকা