কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ দুই ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ ও জনতা। এসময় স্থানীয় লোকজন দুই ডাকাতকে গণধোলাই দেয়।
শুক্রবার রাত দেড়টায় উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের কেদারপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩টা রড, বড় একটা ছুড়ি, হাসুয়া ৩টা, চাইনিজ কুড়াল ১টা উদ্ধার করে।
দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মোঃ জাবেদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই রাজীব চৌধুরী, এএসআই সাইদুল ইসলাম চৌধুরী সঙ্গীয় ফোর্সসহ এবং স্থানীয় লোকজন অভিযান চালায়। এসময় ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা দুই ডাকাতকে অস্ত্রসহ আটক করে গণধোলাই দেয়। পুলিশ জনতার হাত থেকে দুই ডাকাতকে উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। এসময় ১০-১২ জন ডাকাত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
আটককৃত ডাকাতরা হলেন, চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার একবরপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে আব্দুল আলিম (২৪), কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার হাড়ং গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান (২৭)।
পুলিশ আরও জানান, আটক হওয়া ডাকাতদের জিজ্ঞেস করলে তাদের সঙ্গী ১০-১২ জন ডাকাতের নাম জানায়।
অন্য দিকে পালিয়ে যাওয়া ডাকাতরা হলেন, দেবিদ্ধার উপজেলার মাশিকাড়া গ্রামের ধনুমিয়ার ছেলে বাশার (৩০), একই উপজেলার ছোটনা গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে নাজমুল হাসান (২৩), চান্দিনা উপজেলার পিহর গ্রামের পিতা অঞ্জাত আবুল কাসেম (৩০), সদর উপজেলার পালপাড়া গ্রামের মফিজের ছেলে সাগর (২৭), বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের পাচ কিত্তা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে রবিউল (২৮), একই এলাকার মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে কাউসার (২৭), একই গ্রামের হাশেম মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ (২৬)।
এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করে বুড়িচং থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আটক দুই ডাকাতকে কুমিল্লা কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।