ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালে একটি লরি ওঠার পর স্টিলের সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এতে সরকারের ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভালুকা সড়ক ও জনপথের (সওজ) উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় লরিচালককে আসামি করে ত্রিশাল থানায় মামলাটি করেন।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বুধবার বিকেলে ট্রান্সফরমারবাহী ৪২ চাকার একটি লরি ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল। লরিটি ত্রিশালের চেলের ঘাট এলাকার স্টিলের সেতুর ওপরে উঠতেই সেটি ভেঙে যায়। এতে ওই লরি ও একটি প্রাইভেটকার নদীতে পড়ে যায়। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারে থাকা পাঁচজনের মধ্যে তিনজন আহত হন। সেতুটি ভেঙে পড়ায় আনুমানিক সরকারের ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, আইন অনুযায়ী মহাসড়কের ওপর দিয়ে ৪০ টন ওজনের গাড়ি চলাচলের অনুমোদন রয়েছে। তবে, লরির চালক সড়ক পরিবহনের কোনো আইন না মেনে ও সড়ক বিভাগের অনুমতি না নিয়ে ১২০ টন ওজনের ট্রান্সফরমার নিয়ে সেতু পার হচ্ছিলেন। এতে সেতুটি ভেঙে পড়ে। এতে সরকারি সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি ও জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
ময়মনসিংহ সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শওকত আলী বলেন, ট্রান্সফরমার ও লরিটি এখান থেকে সরাতে বড় ক্রেনের প্রয়োজন হবে। এতে সপ্তাহ খানিক সময় লাগতে পারে। এগুলো অপসারণ করার পর দ্রুত সেতুটি ঠিক করে যানচলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হবে।
ওসি মাইন উদ্দিন বলেন, আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে। ট্রান্সফরমারটি এনার্জি প্যাক কোম্পানির। এটি নগরীর কেওয়াটখালী পাওয়ার গ্রিডে যাচ্ছিল।