ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে দাওয়াত করে এনে বাঘবেড় ইউনিয়নের শালকোনা গ্রামের মোঃ আতশ আলীর ছেলে আব্দুল মোতালেব এর বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, আব্দুলের সাথে হ্যাপি আক্তারের বিবাহ সম্পন্ন হয় প্রায় ১১ বছর আগে। বিবাহ শুরু থেকেই আব্দুল মোতালেব বিভিন্ন নেশার সাথে সম্পৃক্ত থাকায় প্রায় সময় হ্যাপি আক্তার কে মারধর করে আসতো, এমনকি মোতালেব এর পিতামাতাও নানানরকম অত্যাচার করতো হ্যাপি আক্তার কে।
এবিষয়ে একাধিকবার চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণের মাধ্যমেও বিচার শালিস কারা হয়েছে। ফলে একপর্যায়ে গত ছয়মাস আগে ৯ বছরের ছেলে মোঃ আরিফ ও ৫ বছরের ছেলে মোঃ আরাফাত হোসেন কে রেখেই বাধ্য হয়ে স্বামীর ঘর ছেড়ে আসতে হয়েছে হ্যাপি আক্তারকে।
আর ছেলে দুটি আব্দুল মোতালেব এর বাড়িতেই ছিলো, কিন্তু ঈদের কিছুদিন আগে থেকেই মোতালেবের মা রহিমা বেগম মোবাইলে কল করে বলে আমরা ছেলে দুটিকে রাখতে পারছিনা তোমরা এসে ওদেরকে নিয়ে যাও।
এই খবর পেয়ে রবিবার সকালে তাদের বাড়িতে ছেলেদের আনতে গেলে হ্যাপির ছোটবোন শান্তা আক্তারকে বাড়িতে আটকে মারধর করে, সংবাদ পেয়ে তার স্বামী হাফিজ উদ্দিন গেলে তাকেও মারধর করে আব্দুল মোতালেব, আতশ আলী ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা।
পরে এলাকাবাসী উদ্ধার করে ধোবাউড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার হাফিজ উদ্দিন এর মাথায় চৌদ্দটি সেলাই ও শান্তা আক্তারের মাথায় সাতটি সেলাই দিয়ে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে ভর্তির পর মোতালেবের আত্মীয় স্বজনরা এসে ডাক্তারকে হুমকি দিলে, সকালে হাসপাতাল থেকে তাদেরকে রিলিজ করে দেয় কর্তব্যরত ডাক্তার এমন অভিযোগ করেন আহত শান্তা আক্তার ও হাফিজ উদ্দিন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগের কথা অস্বীকার করে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাঈদ বলেন রোগীর লোকেরা রিলিজ চাইলে ডাক্তার রিলিজ দিয়েছে। উপরোক্ত বিষয়ে আব্দুল মোতালেব ও তার আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে ধোবাউড়া থানায় একটি দরখাস্ত জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
বিষয়টি নিয়ে কথা বললে অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জালাল উদ্দীন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।