মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় এক স্কুলছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে ছাত্রীর চাচা তিন জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষকসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার তিন জন হলেন– উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের জামাল বাদশা (১৮), রাসেল (২২) ও অভি শেখ (১৬)। তাদের মধ্যে জামাল বাদশা বরংগাইল কলেজে এবং অভি দশম শ্রেণিতে পড়ে। রাসেল নৌকাচালক।
পুলিশ এবং এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে জামাল বাদশা ওই মেয়েকে প্রেম নিবেদন করে আসছিলেন। বুধবার সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীকে ফুঁসলে তেওতা জমিদার বাড়ির একটি ভবনের ছাদে নিয়ে যায় জামাল এবং তার সহযোগী রাসেল। এর পর মেয়েটিকে ছুরিকাঘাত করার ভয় দেখিয়ে জামাল মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। সে সময় রাসেল ভবনের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়। পরে জামাল ও রাসেল সেখান থেকে চলে যায়।
এর পর বিকালে ওই ছাত্রী আরিচা বন্দর এলাকায় বারুণী স্নান উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় যায়। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পূর্ব পরিচিত অভি শেখের সঙ্গে মেয়েটি দেখা হলে তাকে কোমল পানীয় পান করানো হয়। কৌশলে ওই ছাত্রীকে নিয়ে অভি শেখ নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ভিকটিম অচেতন হয়ে পড়লে অভি সটকে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে মেয়েটির চাচা বাদী হয়ে ওই তিন জনকে আসামিকে থানায় মামলা করেন। তাদের মধ্যে জামালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, রাসেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা এবং অভির বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করা হয়।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ নূর-এ আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় দুপুরে ওই তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা সদর হাসপাতালে মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। শুক্রবার আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে।