সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও গুজব না ছড়িয়ে বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তন হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান তিনি। সেই সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
‘সরকার পালানোর পথ পাবে না’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যে দলের নেতৃত্ব মুচলেকা দিয়ে রাজনীতিকে চিরবিদায় জানিয়ে দেশত্যাগ করে, আদালতের দণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামি হিসেবে বিদেশে পালিয়ে বেড়ায়; সে দলের নেতাদের মুখে এ ধরনের বক্তব্য শোভা পায় না। নির্বাচনে জনগণের কাছে বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি এখন হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে বিদেশিদের কাছে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে স্যাংকশন (নিষেধাজ্ঞা) আরোপের ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করছে।’
বৈশ্বিক জ্বালানি পরিস্থিতি তুলে ধরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপে যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের তেল ও গ্যাসের সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ কারণে বিশ্বজুড়ে তেল ও গ্যাসের দাম বেড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে পৌনে তিনগুণ। আর যুক্তরাজ্যে বেড়েছে পৌনে ছয়গুণ। বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড়ে ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। পিডিবি বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। জনগণের কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও সরকার নিরুপায় হয়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। আমরা বিএনপির কাছ থেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি। রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব না ছড়িয়ে তাদের আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানাই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘বিএনপির দুর্নীতিবাজ নেতৃত্ব বিদেশে বসে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে দল চালায়। নেতাকর্মীদের নাশকতার উসকানি দেয়। কিন্তু বিশ্ববাসী ও দেশের জনগণের কাছে গুজব রটনাকারীদের ষড়যন্ত্র আজ ধরা পড়েছে, সত্য উদ্ভাসিত হয়েছে। তাই বিএনপি নেতারা দিশেহারা। বঙ্গবন্ধুর খুনি-যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামায়াত দেশের মানুষের কোনো মঙ্গল চায় না। তাই দেশের গণতন্ত্র উন্নয়ন-অগ্রগতি তাদের চোখে পড়ে না। অথচ আইএমএফের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আন্তইনেত মনসিও সায়েহ বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে সফলতার কথা উল্লেখ করে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে গেছেন।’