বগুড়া আদমদীঘির সান্তাহার পৌরসভার তিন নাম্বার ওয়ার্ডের হাউজিং কলোনির বাসিন্দা লোকমান হাকিমের বিরুদ্ধে পৌরসভার অনুমোদিত নক্সা অমান্য করে তিন তলা বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পৌর কর্তৃপক্ষ তিন দফায় বাড়ির মালিককে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য চিঠি দিলেও বাড়ির মালিক সে বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উক্ত বাড়ির উত্তর পার্শ্বের বাসিন্দা হাউজিং এস্টেটের প্লটের স্বত্বাধিকারী মৃত এ্যাড: সীতানাথ মোহন্ত’র বিধবা স্ত্রী বিথিকা রানী কুণ্ডু পৌরসভায় অভিযোগ করেন যে, উক্ত লোকমান হাকিম পৌর বিধি অমান্য করে বাড়ির নির্মাণ করছে এবং তাদের দখল ভোগ করা হাউজিং এস্টেটের জমি জবরদখলসহ তার প্রতিবন্দি ছেলেকে নানা রকম ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ বিষয় বিথিকা রানীর পক্ষে তার ভাই চন্দন কুণ্ডু গত ২২-০২-২০২১ ইংরেজি তারিখে আদমদীঘি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যাহার নং ৮৩২।
অভিযোগে বিথিকা রানী আরো জানান, সান্তাহার পৌরসভা থেকে লোকমান হাকিমকে সান্তাহার নতুন বাজার এলাকায় বিধি মোতাবেক ৫ শতক জমির উপর তিন তলা বাড়ি নির্মাণের জন্য নক্সা অনুমোদন দেয় যাহার নং ৭৭/২০২-২১ এবং তারিখ-১৪-০১-২০২১ অনুমোদিত নক্সায় বাড়ির চারদিকে তিন ফুট ছেড়ে দেয়া, দোতালায় কোনো কার্নিস না রাখা ও বাড়ির উত্তর পার্শ্বে দরজা না রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু লাকমান হাকিম বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে পৌরসভার অনুমোদিত নক্সা অমান্য করে উত্তর ও পশ্চিম পার্শ্বে সীমানা বর্ধিত করে ওয়াল নির্মাণ, দোতালায় কার্ণিস ও উত্তর পার্শ্বে দরজা নির্মাণ করেছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী বিথিকা রানী চলতি মাসের ০৭-০৯-২০২২ তারিখে পৌরসভা বরাবর ফের অভিযোগ করেন যে, লোকমান হাকিম তার বাড়ির অবৈধ নির্মাণ অব্যহত রেখেছে এবং তার পুত্র আজমল হোসেন খোকন বিথিকা রানীর গাছের ডাল কেটে ফেলেছে, এছাড়া তার একমাত্র প্রতিবন্দি পুত্রকে খুন-জখমের হুমকি দিচ্ছে।
বিথিকা রানীর অভিযোগের পেক্ষিতে পৌর কর্তৃপক্ষ গত ৮ ও ১৫ সেপ্টেম্বর পরপর আরো দুইটি চিঠি দিয়ে বাড়ির মালিক লোকমান হাকিমকে তিন দিনের মধ্যে নক্সা বহির্ভুত উত্তর পার্শ্বের ওয়াল ও নির্মিত দরজা নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য চুড়ান্ত চিঠি প্রদান করে এবং বিষয়টি সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অফিসার ইনচার্জ আদমদীঘি থানা ও ইনচার্জ সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ি বরাবর অনুলিপি প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে সান্তাহার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু এবং নির্বাহী প্রকোশলী রেজাউল করিম নাগরিক খবরকে বলেন, বাড়ির মালিককে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে, এখন পৌরবিধি মোতাবেক অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হবে। বাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।