পণ্য খালাসে গতি বাড়াতে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনে যুক্ত হলো নতুন আরও পাঁচটি অত্যাধুনিক ক্রেন। এরমধ্যে দুটি কী গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি) ও তিনটি রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি (আরটিজি)। পাঁচটি ক্রেনই এসেছে চীন থেকে।
সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে এসব যন্ত্র নিয়ে আসা ‘এমভি জিন চেন হায় ইয়াং’ নামের জাহাজটি বিশেষ ব্যবস্থায় বন্দরের নিউ মুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৫ নম্বর জেটিতে পৌঁছেছে।
হ্যাভি লোড কেরিয়ার জাহাজটি বন্দরে প্রবেশের সময় বন্দর চ্যানেল দিয়ে সব ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। নতুন আসা দুটি কিউজিসি অপারেশনে যুক্ত হলে বন্দরের এনসিটি ও সিসিটিতে কী গ্যান্ট্রি ক্রেনের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৮টিতে। এতে বন্দরের গতিশীলতা বাড়বে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক নাগরিক খবরকে বলেন, দুটি কিউজিসি এবং তিনটি আরটিজি ক্রেন নিয়ে আসা জাহাজটি বন্দরে এনসিটি-৫ এ বার্থিং করা হয়েছে। কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের বিশেষায়িত যন্ত্র পাঁচটি চীন থেকে এসেছে। নতুন যন্ত্র পাঁচটি জাহাজ থেকে জেটিতে খালাস করা হবে। এরপর ইনস্টলেশন ও ট্রায়াল শেষে দ্রুত এগুলোকে অপারেশনাল কাজে ব্যবহার করা হবে।
আধুনিক হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংযোজনের ফলে বন্দরের সক্ষমতা বাড়বে বলে মনে করেন বন্দর সচিব।
তিনি বলেন, এ পাঁচটি ক্রেন যুক্ত হলে বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম আরও গতি পাবে। আরও দ্রুত ও নিরাপদে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সম্ভব হবে। তাছাড়া কন্টেইনারবাহী জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে সময় আগের চেয়ে কম লাগবে। এতে বহির্বিশ্বে চট্টগ্রাম বন্দরের সুনাম আরও বাড়বে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, কিউজিসি দুটি আনা হয়েছে বন্দরের এনসিটি টার্মিনালের জন্য। বর্তমানে ১৮টি কিউজিসির মধ্যে এনসিটিতে ১৪টি এবং সিসিটিতে অপারেশনে ব্যবহৃত হবে ৪টি। তাছাড়া নতুন তিনটি আরটিজি যুক্ত হলে এনসিটি ও সিসিটিতে আরটিজির সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৫টিতে।
গত ৭ মে ‘জেন হুয়া-১২’ নামের আরেকটি হ্যাভি লোড কেরিয়ার জাহাজে করে দুটি কিউজিসি ও তিনটি আরটিজি আনা হয়েছিল। ওই যন্ত্রগুলোও আনা হয় চীন থেকে। এসব যন্ত্র এরইমধ্যে অপারেশনাল কাজে ব্যবহার করা হবে।