জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক দীর্ঘ ছয় মাস (আট মাস) আমি থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। কিন্তু পার্টির কেউ খোঁজ নেয়নি।
তিনি বলেন, আমি সবার খোঁজ নিয়েছি। অথচ যাদের দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, তারাই আমার নিয়মিত খোঁজ রেখেছেন। মসজিদ ও মাজারসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে দোয়া-প্রার্থনা করেছে।
শনিবার (২ জুলাই) গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এরশাদ থাকলে জাতীয় পার্টি অন্যরকম হতো- উল্লেখ করে রওশন বলেন, তিনি নেই বলে আজ পার্টি এলোমেলো হয়ে গেছে। যাদের দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। যারা চলে গেছে, তাদেরকেও ফিরিয়ে আনতে হবে, নতুবা আমরা অনেক পিছিয়ে যাব।
তিনি বলেন, অনেক ভালো ভালো নেতাকর্মী দলের বাইরে আছেন, তাদের আনতে হবে। নতুন প্রজন্মকে দলে আনতে হবে। কাজী জাফর, শাহ্ মোয়াজ্জেম, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ অনেক সিনিয়র নেতা পার্টি ছেড়ে চলে গেছেন। তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। দলকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমকক্ষ বানাতে হবে। নতুবা রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারব না।
পার্টি শক্তিশালী করার প্রয়োজনে যা যা করার দরকার তাই করা হবে- উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় এ নেতা বলেন, এরশাদ তিলে তিলে দলটা গড়েছেন। সবাইকে নিয়েই কাজ করতে হবে। বিমানবন্দরে আমি আসার দিন এত মানুষ আমাকে যে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন, তা দেখে আমার দুচোখে জল এসে গেছে।
রওশন এরশাদ বলেন, এরশাদ মৃত্যুর আগের রাতে আমাকে বলেছিলেন, আল্লাহর রসূল আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে থাকেন। সকালে শুনি তিনি ইন্তেকাল করেছেন। উনি জান্নাতবাসী হবেন। কারণ, তিনি ইসলামের খাদেম ছিলেন। ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেছিলেন, পবিত্র শুক্রবার ছুটি ঘোষণা করেন। মসজিদ মন্দিরসহ সব উপাসনালয়ের পানি ও বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করেছিলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রওশনপুত্র রাহগীর আল মাহি, রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ্, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান হবি, হাবিবুল্লাহ বেলালী, জাপার সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এমএ সাত্তার, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন খান, কাজী মামুনুর রশীদ, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, নরুল ইসলাম নুরু, ইকবাল হোসেন রাজু, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, আশরাফ সিদ্দিকী প্রমুখ।