আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান বন্যা অব্যাহত থাকার আশঙ্কা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে।
সোমবার (২০ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভবন কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতোর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের এই প্রকৃতির সঙ্গেই বাঁচতে হবে।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ভাষানচরে তাদের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে।
এ নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস এবং জাপান চায় বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন।
বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের ৪ জুলাই আমি প্রথম সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি পরবর্তীতে সেতুর কাজের অগ্রগতি না হওয়ায়, আবার ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার এর কাজ শেষ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীন এবং বর্তমানে দেশে ৩৩টি টিভি চ্যানেল চালু রয়েছে। এর আগে শুধু রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিচালিত বাংলাদেশ টেলিভিশনই চালু ছিল।
এ সময় নাওকি ইতো বলেন, বাংলাদেশের পণ্য জাপানে ৯৮ শতাংশ শুল্কমুক্ত কোটায় প্রবেশাধিকার পেয়েছে। জাপান বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
আগামী নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীকে জাপান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, তার এই সফরে জাপান খুশি হবে।
বৈঠককালে নাওকি ইতো প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ফটো অ্যালবাম হস্তান্তর করেন যার শিরোনাম ‘১৯৭৩ সালের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফর’। এটি জাপান-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত হয়।
মেট্রোরেল উদ্বোধনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী বছর থেকে জাপানি কোম্পানিগুলো আড়াইহাজার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ শুরু করবে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।