অবসরের পর প্রধান বিচারপতির জন্য মাসে ৭০ হাজার টাকা বিশেষ ভাতার বিধান রেখে সংসদে বিল উঠেছে। মঙ্গলবার (৭ জুন) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২২’ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে ৩০ দিনের মধ্যে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮২ সালে সামরিক সরকার এলে অধ্যাদেশ দিয়ে এ সংক্রান্ত আইন করা হয়। সেটি বাতিল করে বাংলায় নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, অবসরের পর প্রধান বিচারপতি তার জীবদ্দশায় গৃহ-সহায়ক, গাড়িচালক, দারোয়ান সেবা, সাচিবিক সহায়তা এবং অফিস কাম বাসভবনের রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা পাবেন। এই ব্যয় নির্বাহের জন্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রতি মাসে ৭০ হাজার টাকা বিশেষ ভাতা পাবেন।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে বিচারকদের বেতন ও ভাতা বাড়ানো হয়। বর্তমানে প্রধান বিচারপতি এক লাখ ১০ হাজার টাকা, আপিল বিভাগের বিচারক এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক ৯৫ হাজার বেতন পান। এছাড়া বেতনের ৫০ শতাংশ হারে বিশেষ ভাতা পান তারা।
বিলে বলা হয়েছে, একজন বিচারককে তার কর্মকালীন ছুটির শর্ত অনুযায়ী, অর্ধ গড় বেতনে মোট ৩৬ মাসের বেশি ছুটি মঞ্জুর করা যাবে না। কোনও বিচারকের প্রকৃত কর্মকালের এক-চব্বিশাংশ ভাগ মেয়াদ পর্যন্ত তাকে পূর্ণ গড় বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাবে। পূর্ণ গড় বেতনে ছুটি এককালীন পাঁচ মাস এবং অন্য কোনও ছুটি এককালীন ১৬ মাসের বেশি মঞ্জুর করা যাবে না।
কোনও বিচারক পূর্ণ গড় বেতনে ছুটিতে থাকাকালে তার নির্ধারিত মাসিক বেতনের সমান হারে ছুটিকালীন বেতন পাবেন।
কোনও বিচারক অনভিপ্রেত কোনও আঘাতের দ্বারা বা কারণে অথবা স্বীয় দায়িত্ব পালনকালীন আহত হয়ে কর্মে অক্ষম হলে বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি পাবেন।
বিলে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি বিচারকদের পেনশন ও আনুতোষিক মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ হবেন।
অবসরে যাওয়া বিচারকরা উৎসব ও বাংলা নববর্ষ ভাতা পাবেন বলেও খসড়া আইনে বিধান রাখা হয়েছে।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, কোনও বিচারক অনুমোদিত ছুটি বা অবকাশের অতিরিক্ত অনুপস্থিতিকালের জন্য কোনও বেতন পাবেন না।
বিলে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ছুটি, ছুটি নগদায়ন, আনুতোষিক ও পারিবারিক পেনশন, ভবিষ্যৎ তহবিল ও পেনশন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিধান সম্পর্কে বলা হয়েছে।