কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও কুসিকে নৌকার মনোনয়ন পাওয়া নৌকার কান্ডারী আরফানুল হক রিফাতকে জড়িয়ে যে সংবাদ দৈনিক ভোরের কাগজে প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন মহানগর আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা।
ভোরের কাগজে প্রকাশিত সংবাদের একাংশে বলা হয়
চট্টগ্রাম বিভাগের মাদক ব্যবসায়ীদের নামের তালিকায় প্রভাবশালী ব্যক্তি আরফানুল হক রিফাত এর নাম রয়েছে। তাতে আরও বলা হয় কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন এই রিফাতই। তাদের প্রতিবেদনে আরও বলা হয় রিফাত আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের পরিক্ষিত নেতা।
ভোরের কাগজে উল্লেখিত সংবাদের কিছু অংশ সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন,সংবাদের একাংশে তারা মিথ্যাচার করেছে। শনিবার গণভবনে অনুষ্ঠিত দলটির স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে আরফানুল হক রিফাতের নাম ঘোষণা করা হয়।
এ নিয়ে স্থানীয় আ”লীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নাগরিক খবরকে বলেন, রিফাতের রাজনীতিতে এ ধরনের তথ্য আগে কেন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। মুলত মেয়র হিসেবে নৌকার টিকেট পাওয়াকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্তমুলক ভাবে ভূয়া তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। এ ধরনের ভুয়া তথ্য দিয়ে একজন ক্লিন ইমেজের অধিকারী ও ত্যাগী নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও ভুয়া সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাই।
নৌকার টিকেট পাওয়াকে কেন্দ্র করে রিফাতকে নিয়ে দলের একাংশের ষড়যন্ত্র মুলক মিথ্যাচার সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বিক্ষুব্ধ কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,সেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা
ভোরের কাগজে আরও লেখা হয়, কুমিল্লা আওয়ামী লীগের একটা বড় অংশ ক্ষুব্ধ রিফাতের মনোনয়নে। রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তালিকায় শীর্ষ মাদক কারবারি হিসেবে নাম থাকার পরও কীভাবে দলের মনোনয়ন পেলেন রিফাত।
এ জাতীয় মিথ্যাচার ও বানোয়াট তথ্যে লিখাটা ভোরের কাগজের সম্পুর্ন অজ্ঞতার বহি:প্রকাশ। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনেক গুরুত্বপুর্ন। দলের একজন ত্যাগী নেতা ও ক্লিন ইমেজের অধিকারী না হলে মেয়র পদে নৌকার টিকেট দিয়ে দল তাকে মুল্যায়ন করত??
সংবাদের বিষয়ে আরফানুল হক রিফাত নাগরিক খবরকে বলেন,আমার দীর্ঘ সময় রাজনীতিতে কোন কলঙ্কের দাগ নেই। শেখ মজিবের আর্দশকে ধারন করে রাজনীতি করে আসছি। কখনও কিছু পাওয়ার আশায় দল করি নাই।
রিফাত বলেন, আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে হাতে খড়ি। বহু জেল জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। রাজনীতিতে আমার ত্যাগ-তিতিক্ষা বিবেচনায় নিয়ে আমার নেত্রী ও আমার দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
কুসিক নির্বাচনে দল আমাকে মুল্যায়ণ করে খোঁজ খবর নিয়েই নৌকার টিকেট দিয়েছে। আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিজয়ী হব ইনশাল্লাহ।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ও দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আরফানুল হক রিফাত আওয়ামী লীগের একজন পরিক্ষিত নেতা। ছাত্রলীগের রাজনীতি করার সময় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের দ্বারা নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তাকে সুস্থ করে তুলতে বিদেশে চিকিৎসা করাতে হয়েছিল। তিনি একজন মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা। যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। বর্তমানে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। কুমিল্লার আপামর মানুষের কাছেও রিফাত গ্রহণযোগ্য। সব দিক বিবেচনা করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড তাকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন-কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, রিফাত জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই বিজয়ী হয়ে আসবেন।
প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে আরফানুল হক রিফাত বলেন, আমি হতবাক হয়ে গেলাম,একটি স্বনামধন্য পত্রিকায় এভাবে মিথ্যাচার করে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছে। যার কোন ভিত্তি নেই, নেই কোন সত্যতা।