অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সবার প্রত্যাশা থাকলেও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা ছাড়া তা আয়োজন করা নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী।
তিনি বলেন, কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রথম নির্বাচনই হচ্ছে কুসিক নির্বাচন। তাই এ নির্বাচনকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন যেন কুমিল্লা নগরবাসী তাদের পছন্দের প্রার্থীকেই নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন।
এর আগে তিনি গত মঙ্গলবার কুমিল্লা জেলা নির্বাচন অফিসে এসে তার দায়িত্বভার গ্রহন করেন।
শাহেদুন্নবী চৌধুরী নাগরিক খবরকে বলেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সবারই প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু কমিশনের একার পক্ষে তা সম্ভব নয়। একটি সফল নির্বাচনের জন্য সকলের সহায়তা দরকার। বিশেষ করে যাদের জন্য এ নির্বাচনের আয়োজন সেই প্রার্থীদের এ বিষয়ে অনেক দায়িত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, সেহেতু এখন থেকেই নির্বাচনে অংশ নেবে এমন প্রার্থীদের নির্বাচনী আইন অবশ্যই মেনে চলতে হবে। মনোনয়ন চুড়ান্ত হওয়ার আগে প্রার্থীদের পোস্টার, লিফলেটসহ সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হালনাগাদ ভোটার তালিকার বিষয়ে তিনি বলেন, কুসিক এলাকায় ১০৩ ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার হচ্ছে, ২ লাখ ৩২ হাজার ৬৩০জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৮৮ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ১৪২ জন। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার ৩ নং ওয়ার্ডে ১৬ হাজার ৪৫৯ জন এবং সবচেয়ে কম ভোটার ২৫ নং ওয়ার্ডে ৪ হাজার ১০৫ জন।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল কুসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
তফসিল অনুসারে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৭ মে, বাছাই ১৯ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ মে এবং আগামী ১৫ জুন ১০৩টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
২০১১ সালের ৬ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে কুমিল্লাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। তখন কুমিল্লা পৌরসভা ও সদর দক্ষিণ পৌরসভার মোট ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে সিটি করপোরেশন গঠিত হয়।
২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি প্রথম এবং ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ দ্বিতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উভয় নির্বাচনেই নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে বিজয়ী হন বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু।”