জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের আয়োজনে “বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩” নিয়ে কুমিল্লা জেলার সাংবাদিকদের অবহিতকরণ সভা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
২০ এপ্রিল (বুধবার) উক্ত সভায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৩০ জন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র বাংলাদেশের কাউন্সেলরবৃন্দ এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক দেবব্রত ঘোষ “বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩” সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন। উপস্থাপনায় তিনি এই আইনের ৯টি অধ্যায়ে ৪৯টি ধারা বিশদভাবে আলোচনা করেন।
অভিবাসন, অভিবাসী কর্মী প্রেরণ, রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স প্রাপ্তি ও তাদের দায়িত্ব, অভিবাসী কর্মীর নিবন্ধন ও বহির্গমন ছাড়পত্র প্রদান, শ্রম কল্যাণ উইং-এর দায়িত্ব, অভিবাসী কর্মীর অধিকার এবং এই আইনের আওতায় সংঘটিত অপরাধ, দণ্ড ও বিচার নিয়ে তিনি বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
এছাড়াও দেবব্রত ঘোষ “বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩”-এর আওতায় প্রণীত ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০১৭’, ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (রিক্রুটিং এজেন্ট লাইসেন্স ও আচরণ) বিধিমালা-২০১৯’ এবং ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (রিক্রুটিং এজেন্ট শ্রেণিবিভাগ) বিধিমালা-২০২০’এর উল্লেখযোগ্য ধারাসমূহ তুলে ধরেন। নিরাপদ, নিয়মিত, সুশৃঙ্খল এবং দায়িত্বশীল অভিবাসন নিশ্চিতকরণ, মানব পাচার রোধ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রক্রিয়ায় মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ব নিরসন, উচ্চ অভিবাসন ব্যয় হ্রাস, অভিবাসী কর্মীর অধিকার সুরক্ষা, অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তা এবং কল্যাণ নিশ্চিতকরণে বর্তমান সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেন।
সভার শেষ পর্বে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। বিদেশগনেচ্ছু, বিদেশগামী এবং বিদেশ ফেরত অভিবাসী কর্মীসহ জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তিনি সাংবাদিকবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন। অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র বাংলাদেশের কাউন্সেলর মোঃ রিফাত শাহরিয়ার এমআরসি’র কার্যক্রম তুলে ধরেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভেলপমেন্ট (আইসিএমপিডি) পরিচালিত অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র বাংলাদেশ (এমআরসি) এ আয়োজনে সহযোগিতা প্রদান করে।