কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট নিতে আসা তিনজন সেবাগ্রহিতাকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে ও চড় থাপ্পড় মেরে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে উপপরিচালক নুরুল হুদার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার ভিডিও করতে গেলে স্থানীয় এক সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে তাকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
ডিডির মারধরের শিকার’ ওই তিন ব্যক্তির মধ্যে হোমনা উপজেলার মো. সাকিব জানায়, সোমবার সকালে অফিসে আসেন পাসপোর্ট নিতে। অফিসের নিচ তলায় অপেক্ষা করছিলেন তিনিসহ আরও অনেকে। দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকার পর পাশে থাকা একটি চেয়ারে বসে পড়েন। তখন তার সঙ্গে আরও ৩/৪ জন সেখানে চেয়ারে বসেন। এ সময় আচমকা পাসপোর্ট অফিসের ডিডি মো. নুরুল হুদা নিচে সেখানে আসেন। এসেই প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে তাদের পেটাতে থাকেন। চেয়ার ভেঙে গেলে চড়-থাপ্পড় মারেন।
সোমবার দুপুরের এ ঘটনায় পরে পাসপোর্ট অফিসে যান কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর ও পরিদর্শক (তদন্ত ) কমল কৃষ্ণ ধর। তবে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপপরিচালক।
‘মারধরের শিকার’ ওই তিন ব্যক্তির একজন হোমনা উপজেলার মো. সাকিব। তার ভাষ্য, সোমবার সকালে অফিসে আসেন পাসপোর্ট নিতে। অফিসের নিচ তলায় অপেক্ষা করছিলেন তিনিসহ আরও অনেকে। দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকার পর পাশে থাকা একটি চেয়ারে বসে পড়েন। তখন তার সঙ্গে আরও ৩/৪ জন সেখানে চেয়ারে বসেন।
সাকিবের দাবি, এ সময় আচমকা পাসপোর্ট অফিসের ডিডি মো. নুরুল হুদা নিচে সেখানে আসেন। এসেই প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে তাদের পেটাতে থাকেন। চেয়ার ভেঙে গেলে চড়-থাপ্পড় মারেন।
তিনি বলেন, ‘আমি খুব ব্যথা পেয়েছি। আমার সঙ্গে থাকা আরও দুজন ভয়ে অফিস থেকে চলে গেছে।’
পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা কয়েক জন সেবাগ্রহীতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘হঠাৎ করে বড় স্যার আইসা চেয়ারে বসা দুই-তিনজনরে পিডানি দিছে। পরে থাপ্পড় দেয়। এ ঘটনার পরে আমরা অনেকে ভয় পেয়ে যাই। থাপ্পড় খেয়ে দুই তিনজন অফিস থেকে চলে যায়।’
এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করছিলেন ‘কুমিল্লা প্রেস’ নামে স্থানীয় অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক মো. সাফি। তখন উপপরিচালক তার মোবাইল কেড়ে নেন। তিন ঘণ্টা পর পুলিশের উপস্থিতিতে তা ফেরত দেয়া হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাফি বলেন, ‘আমি আমার পাসপোর্টের বিষয়ে পাসপোর্ট অফিসে যাই। ওই সময় দেখি পাসপোর্ট অফিসের ডিডি আমার কিছুটা সামনে তিন-চারজন সেবাগ্রহীতাকে চেয়ার দিয়ে পেটাচ্ছে। পরে ভুক্তভোগীদের কাছে জানতে চাই কেন তাদেরকে পেটানো হলো।’
‘তখন ভুক্তভোগীরা জানান, তারা ভুল করে অফিসের কর্মকর্তাদের চেয়ারে বসেছিলেন। এ জন্য তাদেরকে পেটানো হয়। ঘটনার বিষয়ে পাসপোর্টের ডিডির কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন।’
ওসি সহিদুর বলেন, ‘আমি শুনেছি উপপরিচালকের সঙ্গে সেবাগ্রহীতাদের কথা কাটাকাটি হয়েছে। এর বেশি কিছু জানি না।’
অভিযোগ অস্বীকার করে উপপরিচালক নুরুল হুদা বলেন, ‘কাউকে মারধর করিনি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কারো কাছে বক্তব্য দিতে বাধ্য নই।’