নাচ, গান ও কবিতার বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিল বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)। ষড় ঋতুর বাংলাদেশে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিতে আয়োজন করা হয় বসন্ত উৎসবের।
২৪ মার্চ(বৃহস্পতিবার) রাজধানীর রমনায় পুলিশ কনভেনশন হলে পুনাক আয়োজিত এই বসন্ত উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ও পুনাকের প্রধান উপদেষ্টা ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার)। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুনাকের সহ-সভানেত্রী নাসিম আমিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, এমন একটা সুন্দর আয়োজন করার জন্য পুনাক সভানেত্রীসহ এর সাথে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন সবাইকে ধন্যবাদ। করোনাকালে আমরা বিগত দুই বছর তেমন কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারিনি। পুনাকের বসন্ত উৎসব আয়োজন এক্ষেত্রে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। এ উপমহাদেশে বসন্ত উৎসবের ইতিহাস অনেক পুরনো। বসন্ত উৎসবকে আরো বেশি জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় করে তুলেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও বসন্তের বিশেষ ভূমিকা আছে। এটা আমাদের শেকড়ের অংশ।
তিনি বলেন, আজকের এই বসন্ত উৎসবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুনাকের যেসকল শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে তাদের পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত চমৎকার।
আইজিপি বলেন, পুনাক সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের গন্ডি পেরিয়ে সাধারণ মানুষের কল্যাণে যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করেছে তা সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখার জন্য পুনাক নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান তিনি।
সবাইকে ঋতুরাজ বসন্তের শুভেচ্ছা জানিয়ে পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা বলেন, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি বাংলাদেশ পুলিশেরই একটি অংশ। পুনাকের কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য মাননীয় আইজিপিসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
করোনাকালে সারাদেশে বাংলাদেশ পুলিশের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন পুনাক সভানেত্রী। পুনাকের শিশু-কিশোরদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠে আজকের এই বসন্ত উৎসব।
এসময় বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির এর সাধারণ সম্পাদিকা মিসেস খাদিজা ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।