আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বৈষম্য নিরসনে নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন জরুরি। এজন্য সচেতনতা প্রয়োজন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এ সচেতনতা সৃষ্টির জন্য গ্রামে যেতে হবে। কারণ গ্রামে প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ বসবাস করে এবং সেখানেই বৈষম্য বেশি হয়, প্রকট নারী নির্যাতন হয়। প্রচলিত আইনগুলো প্রয়োগের পাশাপাশি গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে পারলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।’
বুধবার (৯ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘নারী দিবস ২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক ন্যাশনাল ইনকোয়ারির খসড়া প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়।
আনিসুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশে লিঙ্গসমতার জন্য অনেক আইন প্রণয়ন করা হলেও আমরা এখনো সমস্যার জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। শুধু আইন প্রয়োগ করে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য নিরসন করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি বা মানসিকতা পরিবর্তনের প্রয়োজন।
মন্ত্রী বলেন, ‘যত আইনই করা হোক না কেন, নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য দূর না হলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তবে এ বৈষম্য রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জেন্ডার বা লিঙ্গভিত্তিক অসমতাকে সমতায় আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। ফলে ধীরে ধীরে বৈষম্য দূর হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসলাম ধর্মই প্রথম নারীর অধিকার স্বীকার করেছিল। তাই বৈষম্য দূরীকরণে ইসলাম ধর্ম বা অন্য কোনো ধর্ম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না।’
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, কমিশনের সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ ও জেসমিন আরা বেগম।