1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন

স্বাস্থ্যবিমা চালু করতে চায় সরকার

নাগ‌রিক খবর ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২
  • ১৬৭ বার পঠিত

সরকার স্বাস্থ্যবিমা চালু করতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যবিমা চালু করতে চাই। এজন্য কাজ শুরু করতে হবে।’ মঙ্গলবার জাতীয় বিমা দিবস-২০২২’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত বিশ্বের মতো বিমা ব্যবস্থা আমাদের দেশেও চালু হোক- সেটাই আমরা চাই। আমাদের সরকার বেশ কয়েকটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অনুমতি দিয়েছে- এগুলো আরও কার্যকর করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি ওয়াদা অনুযায়ী আমরা সকলের জন্য সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছি।’ এতে সবার জীবনের নিশ্চয়তা প্রদান সম্ভব হবে। বিমা নিয়ে মানুষের আস্থা বাড়াতে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রাহকের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সেবা প্রদান করতে হবে। মানুষকে বিমার বিষয়ে আগ্রহী করতে নতুন নতুন পদ্ধতি কাজে লাগাতে হবে। জনগণকে উৎসাহী করতে হবে এবং বিমার বিষয়ে আরও ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে।’ বিমা সেবাকে জনপ্রিয় করাসহ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি বিমা কোম্পানিগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, অনেকেই ব্যবসা করতে গিয়ে বিমা করেন। এরপরে ভুল বা অসত্য তথ্য দিয়ে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে প্রিমিয়াম থেকে টাকা দাবি করেন। আসলে হয়তো তাদের এই দাবি সঠিক নয়; এসব বিষয়ে আমাদের সর্তক হতে হবে। যারা এসব করেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে। তারা যেন আবার অন্য কোনোভাবে ওই অল্প ক্ষতিকে বড় ক্ষতি করে না দেখায়।

আবার গ্রাহক যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখারও অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিমা মানে হচ্ছে একটা আমানত। তাই কেউ যেন তার প্রাপ্য চাইতে গিয়ে হয়রানির শিকার না হয়। প্রাপ্য যেন সহজেই পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বিমা নিয়ে নানা হয়রানি হয়- এসব বন্ধ করতে হবে। বিমা দাবিতে অনিয়ম দূর করতে প্রযুক্তির ব্যবহারের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

বিমা দাবি নিষ্পত্তি ও বিমার আর্থিক লেনদেনে আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, গ্রাহকেরা বিমার ক্ষেত্রে প্রিমিয়ামটা যাতে সঠিকভাবে দেন, সেটাও যেমন প্রয়োজন, আবার বিমার টাকাও যেন সঠিকভাবে পান, সেই বিষয়েও যত্নবান হওয়া প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশগামী বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য প্রবাসীকর্মী বিমা, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি মোকাবিলায় হাওড় এলাকায় সীমিত পরিসরে আবহাওয়া সূচকভিত্তিক শস্য বিমা চালু করা হয়েছে। পদ্মা বহুমুখী সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো মেগা প্রকল্পগুলোর বিমা ঝুঁকি সাধারণ বিমা করপোরেশন গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পিতা-মাতা, অভিভাবকের অকাল মৃত্যুতে বা শারীরিক অক্ষমতায় তাদের শিক্ষাজীবন যাতে ব্যাহত না হয় সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা’ পরিকল্প চালু করা হয়েছে। সর্বসাধারণের দুর্ঘটনাজনিত ক্ষয়-ক্ষতি কমাতে সাধারণ বিমা কর্পোরেশন ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বিমা’ চালু করেছে। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল। বিমা ব্যবস্থাকেও ডিজিটাইজ ও অটোমেশনের মধ্যে আনতে হবে এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি বিমাখাতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
জাতির পিতা বেঁচে থাকলে ৪০ বছর আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতো বাংলাদেশ জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা এনে দেন। তাঁর সময়ে ৯ ভাগের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল।

বিমা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর কার্যক্রম তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমা প্রতিষ্ঠানসমূহকে তত্ত্বাবধান করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিমা অধিদফতর গঠন করেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন।

আরও বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন প্রমুখ।‌বি‌ট্রি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com